দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিন সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয় বেলডাঙায়। এখানে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনের জেরে আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্সও। এরপর বেলডাঙা স্টেশনের কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়ে কয়েকটি স্টলে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরে বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক জিআরপি কর্মী আক্রান্ত হন। সেখান থেকে বিক্ষোভকারীরা থানা এবং বিডিও অফিসের সামনে জমায়েত হন। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যা ফ এবং কমব্যাট ফোর্স লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাড়া করে। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। আন্দোলনকারীরা সন্ধ্যার পরেও শহরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
অন্যদিকে, রঘুনাথগঞ্জে দুপুর আড়াইটে থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। রাস্তার দু’দিকে প্রচুর গাড়ি আটকে যায়। জঙ্গিপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুপুরের দিকে প্রথমে কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জমায়েত হন। পরে তাঁরা রঘুনাথগঞ্জ শহর হয়ে জাতীয় সড়কের দিকে এগিয়ে যান। সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। পুলিস বুঝিয়েও সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। তবে ডোমকল, রেজিনগর বা জলঙ্গিতে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখান।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতো এই জেলাতেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবারও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন হয়েছিল। তবে এদিনের আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, তৃণমূলের উস্কানিতে এসব হচ্ছে। ওরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।
তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। এখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য ওরা এসব বলছে। মুর্শিদাবাদকে ওরা অশান্ত করেছে। এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপিই দায়ী।
এদিন বিকেলে বড়ঞা থানার ডাকবাংলা গ্রামে প্রতিবাদ মিছিল হয়। তৃণমূলের ওই মিছিলে সাধারণ বাসিন্দারা অংশ নেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বড়ঞা ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শিদ ও ব্লক যুব সভাপতি মাহে আলম। মিছিলটি ফরাক্কা-হলদিয়া বাদশাহি সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় একঘণ্টা রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে গ্রামের চৌমাথায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। মাহে আলম বলেন, সব ধর্মের মানুষ মিছিলে শামিল হয়েছেন। গোলাম মুর্শিদ বলেন, এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে দেশে যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি, তার প্রতিবাদে এদিন আমরা মিছিল করেছি।