বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের পক্ষ থেকে এনআরসি ও সিএএ-র প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে প্রথমে মিছিল ও পরে পথ অবরোধে শামিল হন সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা স্লোগান তোলেন, এনআরসি মানছি না মানব না। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারী সাদ্দাম শেখ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চাইছে। শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায় নন, বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশছাড়া করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি নীতি। যে কারণে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ও এনআরসির প্রতিবাদে আমরা পথে নেমেছি। ভারতবর্ষের সম্প্রীতির ঐক্যকে কখনওই আমরা নষ্ট হতে দেব না। আগামী দিনে আমাদের এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর রূপ নেবে।
এদিকে, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা পথ অবরোধের জেরে আরামবাগ-তারকেশ্বর রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিস ফেরত বাসযাত্রীরা। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে ভুল বুঝিয়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে তৃণমূল। এনিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই আইনে যে সব মানুষ অবৈধভাবে এদেশে বসবাস করছেন, তাঁদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু মানুষদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। যে কারণে হিংসার ঘটনা ঘটছে। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা বদনাম দিচ্ছে।
তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ভারতীয় সংবিধান, সম্প্রীতির উপর আঘাত হানছে বিজেপি। তাই রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বিজেপির বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলায় কখনওই এনআরসি করতে দেওয়া হবে না। ওরা বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে এসে মানুষের মধ্যে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে।
এদিকে, শুক্রবার সিএএ-র বিরুদ্ধে পুরুলিয়া শহরে মিছিল করে সংবিধান বাঁচাও সংঘর্ষ কমিটি। এদিন পুরুলিয়া শহরের একাংশে এই সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করেন। উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠনের নেতা আমজাদ কাজি, শেখ রাজু, অজিত হেমব্রম প্রমুখ। আমজাদ কাজি বলেন, নতুন তৈরি এই সংগঠনে এদিন ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় কর্মসূচি নেওয়া হবে।