কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দক্ষিণপূর্ব রেলের বাঁকুড়া স্টেশন ম্যানেজার সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডেপুটেশন পেয়েছি। তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বাঁকুড়ায় রেলের বস্তিবাসীদের এনআরসির মতো তাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অবিলম্বে উঠে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দু’হাজার বস্তিবাসীর রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বলেছিলেন, রেলের প্রয়োজনে উচ্ছেদ করা যেতেই পারে। কিন্তু, তার জন্য পুনর্বাসন দিতে হবে। বাঁকুড়ায় রেলবস্তিতে বাসিন্দারা বহু বছর ধরে বসবাস করছেন। এভাবে হঠাৎ করে ওদের ওঠানো যায় না। পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে এদিন রেলের জেনারেল ম্যানেজারের উদ্দেশে স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আমরা রেলের কাছে এদিন বিকল্প জায়গা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এছাড়াও কেঠারডাঙায় ওভারব্রিজ ও কাঠজুড়িডাঙায় হল্ট স্টেশনের দাবি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরে ১২, ৭, ৫, ১৮, ২৩ সহ পুরসভার মোট ৭টি ওয়ার্ডে রেলবস্তি রয়েছে। তার মধ্যে শহরের আশ্রমপাড়া, পাটপুর, কেঠারডাঙা, আশ্রমপাড়া, ফিডাররোড প্রভৃতি জায়গায় বহু বছর ধরে বাসিন্দারা বসবাস করছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০০ বাসিন্দা রয়েছেন। সম্প্রতি রেলের পক্ষ থেকে ওই সব বস্তি উচ্ছেদের নোটিস ধরানো হয়। এতে বাসিন্দারা পথে বসার আশঙ্কা করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বলেন। সেই মতো তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁদের পাশে দাঁড়ান। এদিন সকালে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করা হয়। তাতে বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত অংশ নেন। রেল বস্তির অধিকাংশ পুরুষ ও মহিলার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েক হাজার কর্মী ও সমর্থক মিছিলে হাঁটেন। জমায়েতের কারণে এদিন স্টেশন রোডে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্বাভাবিক হয়।
বস্তির বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, বিকল্প জায়গা দিলে আমরা ঝিটেবেড়ার চালাঘর করে থাকতে পারব। কিন্তু, রেল কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোনও কথা শুনছে না। অবিলম্বে রেলের জায়গা খালি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা আতঙ্কে রয়েছি।