বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ধ্রুব দাস বলেন, ঘটনাটির আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পাশাপাশি নার্সিংহোমের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শিশু বিক্রির সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড়া হবে না।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দম্পতির ১১ বছর আগে বিয়ে হলেও তাঁরা নিঃসন্তান ছিলেন। তাই তাঁরা সন্তানের জন্য বর্ধমান শহরের জিটি রোডের ধারে ভাঙাকুঠি এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের কর্মী শৈলেন রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শৈলেন ওই দম্পতিকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি কন্যাসন্তান দেওয়ার কথা বলেন। অভিযোগ, ওই দম্পতিকে ২৮ জুলাই নার্সিংহোমে প্রসূতি সাজিয়ে ভর্তির কাগজপত্র দেওয়া হয়। ওইদিনই এক চিকিৎসকের সই করা কন্যাসন্তান জন্মানোর ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করে শিশু হস্তান্তর করে। পুলিস ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে।
জেরায় পুলিস জেনেছে, শৈলেন ওই নার্সিংহোমে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করত। শিক্ষগত যোগ্যতা এবং প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সে সেখানে কাজ করত তা নিয়ে হতবাক পুলিস। তবে শৈলেন জানিয়েছে, সে অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকদের সহযোগিতা করত। এদিকে এদিন দাঁইহাটের বকুলতলা এলাকায় শৈলেনের বাড়ি গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা বলেন, শৈলেনের একটি মেয়ে আছে। সে কীভাবে আর একজনের এমন ক্ষতি করতে পারে তা বিশ্বাস হচ্ছে না। শৈলেন প্রথমে দাঁইহাট শহরের একটি নার্সিংহোমে কাজ করত। তারপর বছর পাঁচেক ধরে বর্ধমান শহরে ওই নার্সিংহোমে কাজ করে।
তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই শহরের অন্যান্য নার্সিংহোমে আর কোনও শিশু বিক্রি হয়েছে কি না বা এই চক্রের অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। প্রসঙ্গত, ধৃত ওই দম্পত্তির কাছে কিছুদিন আগে একটি পাঁচমাসের শিশুকন্যাকে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিসকে খবর দেন। পরে পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে বর্ধমান শহরের এক নার্সিংহোমে ওই শিশু বিক্রির ঘটনা ঘটে। এরপরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।