কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলিয়া গ্রামের কমল মাহাতর বোনের বিয়ে হয় শালবনী থানা এলকার লালুয়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার কমল তাঁর বন্ধু গোপাল বেরা, দীপক মাহাত, সোমনাথ মাহাত, সুব্রত মাহাত ও অনিমেষ মাহাতকে নিয়ে একটি মারুতিভ্যানে করে লালুয়ায় বোনের শ্বশুর বাড়ি যান। দীপক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বিয়েবাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে রাতেই তাঁরা বাড়ি ফিরে আসার জন্য রওনা দেন। মেদিনীপুরের দিকে আসার সময় গোয়ালতোড়ের রাস্তায় জয়পুরের কাছে গাড়িটি একটি গাছে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপকের। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় গোপাল মারা যান। জখম চারজনের মধ্যে দু’জনকে অর্থপেডিক ও দু’জনকে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, সকলেই অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু পাত্র বলেন, মারুতিটি দ্রুত গতিতে এসে গাছে ধাক্কা মারে। সবাই ছিটকে বাইরে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। আমি অ্যাম্বুলেন্সে করে ওঁদের মেদিনীপুর নিয়ে যাই। সকলেই নেশা করেছিলেন। গাড়িতেও মদের বোতল পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একজন মারা যান। বাকিদের মধ্যে তিনজনের আঘাত খুবই গুরুতর। চারজনকেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভরতি করে দিয়ে এসেছি। মনে হচ্ছে, নেশা করার জন্যই গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। আবার ঘন কুয়াশার জন্যও ঘটনাটি ঘটতে পারে।
এদিন খবর পেয়ে মৃত ও জখমদের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে আসেন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত গোপাল বেরার বাবা বাসুদেব বেরা। তাঁর ভাইপো ভোলানাথ বেরা সহ আত্মীয়রা তাঁকে কোনওভাবেই সামলাতে পারছিলেন না। বাড়িতেও একই অবস্থা। ভোলানাথবাবু বলেন, দাদার বন্ধু কমল মাহাতর বোনের বিয়ে ছিল। তাঁর বাড়িতে সবাই মিলে খেতে যায়। কিন্তু ভোরে বাড়িতে খবর আসে দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে এসে দেখি, দাদা নেই। তাঁর আর এক বন্ধুও মারা গিয়েছেন। তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ভোরবেলা যে এরকম খবর আসবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। গোপালদা আমার কাকার একমাত্র সন্তান ছিল। বাড়ির কেউ এই খবর মেনে নিতে পারছেন না। সকলেই ভেঙে পড়েছেন।