কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈসরাই এলাকায় বর্ধমান-আরামবাগ রাজ্য সড়কের পাশে বছর পাঁচেক ধরে তৃণমূলের ওই কার্যালয়টি রয়েছে। শুক্রবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎই ওই কার্যালয়ের বাইরে আগুন জ্বলতে দেখেন। খবর পেয়ে কার্যালয়ে আসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এরপর বেশকিছু অগ্নিদগ্ধ দলীয় পতাকা জল দিয়ে নেভানো হয়। এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মীর চঞ্চল বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করার পরই আমাদের দলীয় কার্যালয়ের উপর আক্রমণ চালানো হয়। তাছাড়া আগে বেশ কয়েকবার বিজেপির পক্ষ থেকে আমাদের কার্যালয়টি দখলের চেষ্টা হয়। তারপর থেকে কার্যালয়টি কার্যত আমরা বন্ধ রাখি। সম্প্রতি এলাকার বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই খবর জানাজানি হতেই বিজেপির পক্ষ থেকে আমাদের কার্যালয়ে রাতের অন্ধকারে ভাঙচুর ও দলীয় পতাকা বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এভাবে ওরা কখনই মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।
এদিকে, ওই রাতেই আরামবাগ ব্লকের সালেপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ডঙ্গল এলাকায় রাস্তার পাশে থাকে শাসকদলের পতাকা খুলে ফেলার অভিযোগ ওঠে বিরোধীদের বিরুদ্ধে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল যুব সভাপতি কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে আমাদের দলের তরফে এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলছে। সেই হিসেবে বড়ডঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে দলীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু, এদিন সকালে দেখা যায় ওই সব পতাকা খুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির লোকজন যুক্ত।
আরামবাগ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর, দলীয় পতাকা পোড়ানো ও কর্মী সমর্থকদের মারধরের ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু, এভাবে কখনই তৃণমূল কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিজেপি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ওদের পায়ের তলার মাটি সরে যেতেই এধরনের কার্যকলাপ করছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আমরা হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সাধারণ মানুষ তৃণমূল সম্পর্কে জানেন। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওই সব ঘটনা ঘটছে। কিন্তু, বিজেপির নামে মিথ্যা অভিযোগ আনছে তৃণমূল।