দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
শ্রীরামপুর ও সমুদ্রগড় অঞ্চলের ২১০ বিঘা জুড়ে এই জলাশয় অবস্থিত। তার একপাশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অতিথি নিবাস করেছে মৎস্য দপ্তর। শ্রম দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় সেখানে আরও একটি অতিথি নিবাস হতে চলেছে। ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর এই বাঁশদহ বিলের পাশে খাল-বিল উৎসব হয়। এবছর তার আগেই পরিযায়ী পাখি আসা শুরু হয়েছে। কচুরিপানার নীচে লেগে থাকা কুঁচো শামুক খেতে পছন্দ করে পরিযায়ী পাখিরা। বিলের পাড় থেকে ২০০ মিটার দূরে জলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে তাদের। তবে, এখনই ডিঙি নৌকা নিয়ে তাদের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
বাঁশদহ বিল সংলগ্ন কুটিরপাড়ার বাসিন্দা কুন্তল দেবনাথ, প্রসেনজিৎ দেবনাথ ও রোহন দেবনাথ বলেন, মাস খানেক আগে কচুরিপানার ভিতর থেকে কিচিমিচির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। ভালো করে তাকিয়ে দেখি, বিদেশি প্রজাতির হাঁস জলে চড়ে বেড়াচ্ছে। চুপি পাখিরালয়ে এমন ধরনের পাখি দেখেছিলাম। রং-বেরঙের বিদেশি পাখিও এসেছে এখানে। অনেকে ঢিল মেরে তাড়াতে চেয়েছিল। আমরা ঢিল ছুঁড়তে সবাইকে নিষেধ করেছি। এখন ওদের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিলের দক্ষিণ পূর্বদিক নির্জন থাকে। ফলে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে হয়।
স্বপনবাবু বলেন, বাঁশদহ বিলে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করছে বলে শুনেছি। গত বছর কিছু এসেছিল। এবার সংখ্যা অনেক বেশি। নজরদারি চালিয়ে যেতে বলেছি। শীতের মরশুমে বাঁশদহ বিলের আকর্ষণ ওরাই। বনদপ্তরকেও বিষয়টি জানাব। পরিয়ায়ীরা নির্জন জায়গা খোঁজে। বাঁশদহ বিলকে সেভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি পর্যটকদের সেরা ঠিকানা হতে চলেছে এই বিল। ওখানে অতিথি নিবাস করা হয়েছে। শ্রমদপ্তর থেকে আরও করা হচ্ছে। আশেপাশে প্রচুর মঠ ও মন্দির আছে। ঐতিহাসিক চাঁদের বিল ও সর্বোপরি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব শিক্ষালাভ করেছেন এই বিদ্যানগরে। তাই এই জায়গার প্রতি পর্যটকরা আকর্ষিত হবেন।
অন্যদিকে, শীতের মরশুমে এখানে গত প্রায় দু’দশক ধরে খাল-বিল, চুনো মাছ উৎসব করছেন স্বপনবাবু। মূলত বাঁশদহের বিলকে ঘিরে উৎসব হয়। বিলকে বিভিন্ন সাজে সাজানো হয়। রাজ্যের মন্ত্রী, আমলারা এই খাল বিল উৎসব দেখতে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁশদহ ও চাঁদের বিলকে ঢেলে সাজানোর জন্য ২৫ কোটি টাকা আর্থিক অনুমোদন করেন। খাল কেটে ভাগীরথীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বাঁশদহ বিলে। এছাড়া বিলের চারদিকে ঢালাই রাস্তা রয়েছে। স্ট্রিট লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। এবার এখানে পারিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটনায় বাঁশদহ বিল ঘিরে পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে তুলেছে।