পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কালনা বাদলা পঞ্চায়েতের সিঙ্গারকোণ এলাকায় প্রাচীন একটি হাট রয়েছে। সপ্তাহের নিদিষ্ট দিনে হাট বসে। কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর জন্মস্থান কালনা বৈদ্যপুর পাতিলপাড়া এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, কবি সিঙ্গারকোণের হাট নিয়েও কবিতা লিখেছিলেন। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রাচীন হাটের পরিকাঠামো কিছু পরিবর্তন হলেও আজও সপ্তাহের নিদিষ্ট তিনদিন হাট বসে। গ্রামীণ পণ্যর পাশাপাশি গৃহস্থের প্রয়োজনীয় সম্ভার নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কবির লেখা কবিতা ‘লোহার ব্যথা’এই হাটের কামারশালাকে কেন্দ্র করে লেখা। এলাকার বাসিন্দারা কয়েক দশক ধরে সিঙ্গারকোণ এলাকায় আধুনিক বাজার তৈরি হোক দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আধুনিক বাজার তৈরির জন্য তিন কোটি টাকা অনুমোদন করে সরকার। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে আধুনিক বাজার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্লকের পিণ্ডিড়া পঞ্চায়েতের আঙ্গারসন গ্রামে ৭০লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। বাজারে ৪৩টি দোকান ঘর থাকবে। সঙ্গে শৌচাগার ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এলাকার ব্যবসায়ী ও উদ্যোগী যুবকেদের মধ্যে ঘর বিলি করা হবে। এছাড়াও সব্জি, মাছ ও মাংসের জন্য আলাদাভাবে বাজার তৈরিরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর্থিক অনুমোদন এসে গেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বাজারটি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর নামে রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা পরিষদের উন্নয়ন কমিটির সদস্য এলাকার বাসিন্দা প্রণব রায়।
বিডিও মিলন দেবগড়িয়া বলেন, মাইনরিটি প্রকল্পে সিঙ্গারকোণ ও পিণ্ডিড়া এলাকায় বাজার ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করে বাজার তৈরি করা হবে। এলাকার ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এছাড়া সব্জি, মাছ ও মাংসের বাজার নির্মাণের জন্য প্রকল্প ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রণববাবু বলেন, সিঙ্গারকোণ হাটতলা প্রাচীন একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র। সপ্তাহের নিদিষ্ট দিনে হাট বসে। কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত এই এলাকায় জন্মে ছিলেন। তাঁর নামেই এই বাজারের নামকরণ করা হয়েছে। বাজারের দোকান যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, তেমনই এলাকার সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠবে কমিউনিটি হল।