বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিন চারেক আগে তাদের ধরে নিয়ে আসে পুলিস। কালনা থানায় তাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইনসানকে খুনের কথা তারা কবুল করেছে বলে জেলার এক পুলিস কর্তার দাবি। ইনসানকে খুনের পরিকল্পনায় আরও কয়েকজন জড়িত বলে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিস। তবে, এখনই খুনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিস। মাদক মামলায় কাটোয়া থানার পুলিস তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্বস্থলীর দিক থেকে এসটিকেকে রোড ধরে দু’জন বাইকে চেপে আসছে বলে খবর মেলে। তাদের কাছে মাদকদ্রব্য রয়েছে বলে জানতে পারে পুলিস। দাঁইহাট ফেরিঘাট হয়ে তাদের নদীয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পথে একটি বারের কাছ থেকে পুলিস তাদের ধরে। জামিউল বাইকটি চালাচ্ছিল। ধৃতদের কাছে দু’টি ব্যাগ ছিল। তাতে থাকা দু’টি প্লাস্টিকের বোতল থেকে ৩০৪০ গ্রাম তরল কোডাইন মেলে বলে পুলিসের দাবি।
ঘটনার বিষয়ে কাটোয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর ব্রজগোপাল হালদার অভিযোগ দায়ের করেন। এদিনই ধৃতদের বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন মাদক আদালতের বিচারক নন্দন দেব বর্মণ। প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় অশোক বলে, ইনসান খুব জ্বালাচ্ছিল। এলাকায় দারুণ অত্যাচার চালাচ্ছিল। সেজন্যই ওকে খুন হতে হয়েছে।
জামিউল বলে, পুলিস খুনের ব্যাপারে আমাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। চাপে পড়ে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছি। খুনের মামলায় আমাদের আটকে রাখতে পারবে না বুঝেই আটকে রাখতে আমাদের মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দু’জন ইনসানকে খুনের কথা কবুল করেছে। পরে খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হবে।