বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন খোলাবাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। আর সুফল বাংলা বিপণীতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৯ টাকা কেজি দরে। এই অবস্থায় তমলুক, নন্দকুমার, মহিষাদল, ময়না, শ্রীরামপুর, কোলাঘাট, শহিদ মাতঙ্গিনী সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন বিপণীতে ভিড় করছেন। গত সপ্তাহে বিপণীর ভিতর ছ’টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে পুলিস মোতায়েন করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। মঙ্গলবার বিপণীর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নবদিশা ফার্মার প্রডিসিউসার্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু বাগ জেলা কৃষি বিপণন দপ্তরের অফিসার মিতা সাহার কাছে পুলিস নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা দেন। মিতাদেবী সেই আবেদনপত্রের কপি পাঠান অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) চেয়ং পালজারের কাছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই আবেদনপত্র মঞ্জুর করে জেলা পুলিসের কাছে পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে সুফল বাংলা বিপণীতে পুলিস নিয়োগ হবে।
গত ২২ অক্টোবর রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত তমলুকে সুফল বাংলা বিপণীর উদ্বোধন করেন। ন্যায্যমূল্যে আলু, পেঁয়াজ, শাকসব্জি, সবরকম মুদি ও দুগ্ধজাত সামগ্রী এবং অন্যান্য অনেক উপকরণ মিলছে। খোলাবাজারে আলু কেজিপ্রতি ২২ টাকা দরে বিক্রি হলেও বিপণীতে ১৯ টাকায় মিলছে। পেঁয়াজ মিলছে ৫৯ টাকা কিলো দরে। খোলাবাজারের তুলনায় শাকসব্জির দামও কম। তাই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাত বস্তা পেঁয়াজ আনা হয়েছিল। বিকেলে আরও পাঁচ বস্তা পেঁয়াজ আসে। মুহূর্তে পেঁয়াজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার বিপণীতে ৯২ হাজার টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। বুধবার বিক্রি হয়েছে ৬৬ হাজার টাকার। বৃহস্পতিবার বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার টাকা। গত ২২ অক্টোবর থেকে এখনও অবধি ২৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। মিতাদেবী বলেন, সুফল বাংলা বিপণীতে পুলিস নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত জেলাশাসকে চিঠি দিয়েছি। দু’-একদিনের মধ্যেই পুলিস নিয়োগ হয়ে যাবে।