কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শহরের বাসিন্দারা বলেন, এভাবে বাইক চালিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য আমরা কোনওদিন দেখিনি। নতুনত্ব জিনিস দেখতে পেলাম। ভালোই লাগল। প্লাস্টিকমুক্ত বিয়েবাড়ি কিংবা বিয়েবাড়ি থেকে চারাগাছ বিতরণ এখন আর নতুনত্ব কিছু নয়। কিন্তু নিজেই বাইক চালিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার অভিনব ঘটনা এলাকার মানুষ কার্যত প্রথম দেখল।
শান্তিপুরে সূত্রাগড় এলাকার তুলসী মন্দির তলার পাপাই ঘোষের বুধবার ছিল বিয়ে। পেশায় শাড়ি ব্যবসায়ী পাপাইয়ের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় শান্তিপুর কুটিরপাড়ার জয়িতা দাসের। সেই বিয়েতে যাওয়ার সময় নিজের দামি বিদেশি বাইকে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাপাই। পাপাই ঘোষ বলেন, আমার বন্ধুদের একটা বাইক রাইডার্স গ্রুপ রয়েছে। আমরা মাঝে মধ্যেই নানা জায়গায় যাই বাইক নিয়ে। পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গে নানা সময় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ অনুষ্ঠানে অংশ নিই। বাইক নিয়ে বিয়ে করতে যাব, সেটা বন্ধুদের সঙ্গে আগে থেকেই ঠিক করে ফেলি। কারণ, হেলমেট পড়ে বাইক নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার ফলে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ বার্তাটা সমাজের কাছে পৌঁছতে পারব। অন্যদিকে, বিষয়টির মধ্যে একটা নতুনত্ব থাকবে। এই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করার পর এত মানুষ দেখেছেন, শেয়ার করেছেন ভেবে ভীষণ আনন্দ লাগছে।
বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে ফেরার সময়ও বউকে নিয়ে বাইকে করেই তিনি ফেরেন। বিয়ে করতে যাওয়ার সময় গোটা রাস্তায় মাঝেমধ্যে বরের মাথায় হেলমেট দেখতে পাওয়া না গেলেও বিয়ের পর পরের দিন বউকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বর-কনে দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল। বাইকে করে বিয়ে করতে যাওয়ার বিষয়টি প্রথমদিকে পরিবারের লোক রাজি হননি। পরে তাঁরা মেনে নেন। পাপাই এবং জয়িতার বিয়ে গত বুধবার হয়ে গেলেও তাঁদের বিয়ের রিসেপশন পার্টি হবে আগামী রবিবার। পাপাই ঘোষের ভাই সুমন ঘোষ বলেন, দাদা এভাবে বিয়ে করতে যাবে, সেটা আগেই জানতাম। বিষয়টি নিয়ে দারুণ উৎসাহিত ছিলাম। দাদা বিয়ে করতে যাওয়ার সময় ও বাইক চালায় এবং আমি বাইকের পিছনে বসি। নতুনত্ব এই বিষয়টি দেখে খুবই ভালো লাগছে। আমরা ভাইরা এবং দাদার বন্ধুরা বাইকে করে গেলেও পরিবারের বাকি সদস্যরা গাড়িতে করে বরযাত্রী যান।