গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলি সোম থেকে শনিবার খোলা থাকবে। চাষিরা ৯টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে ধান আনতে পারবেন। সেখানে ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল পিছু ২০টাকা উৎসাহ মূল্য দেওয়া হবে। ধানের দাম চাষিদের চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে। চাষিদের কাছে থেকে ভোটার কার্ড, দু’কপি ছবি, মোবাইল নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর নেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় যে ২৫টি সিপিসিতে ধান কেনা হবে সেগুলি হল- বহরমপুর কৃষক বাজার, হরিহরপাড়া কৃষক বাজার, নওদা কৃষক বাজার, বেলডাঙা-১ কৃষি খামার, শক্তিপুর সুকান্ত ফুটবল ময়দান, জিৎপুর, ইসলামপুরচক, চোঁয়াপাড়া, ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, জরুয়ার, সাগরদিঘি, সূতি-১, দফাহাট, রঘুনাথগঞ্জ-২, ভরতপুর, সালার, বড়ঞা, কান্দি, খড়গ্রাম, কাশিয়াডাঙা, বাহাদুরপুর, নবগ্রাম, লালগোলা কৃষক বাজার এবং ভগবানগোলা-২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিস।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব কৃষকের নাম কৃষকবন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাঁদের ধান বিক্রি করার জন্য ইতিমধ্যে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। সিপিসি ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা ধান কিনবে। গতবছর বিভিন্ন সংস্থায় ১লক্ষ ৯ হাজার ৩২২ জন চাষি ধান বিক্রি করেছিলেন। সিপিসি কেন্দ্রে ধান দিয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৪৯৮ জন চাষি। এবছর ধান বিক্রির জন্য ইতিমধ্যে ৮ হাজার ৪১২জন চাষি নাম নথিভুক্ত করেছেন। মার্চ মাস পর্যন্ত চাষিরা সিপিসিগুলিতে ধান বিক্রি করতে পারবেন। জেলার ফুড কন্ট্রোলার সাধনকুমার পাঠক বলেন, চাষিরাই শুধু ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধান বিক্রি করতে পারবেন। ফড়েদের কাছে থেকে ধান নেওয়া হবে না। আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে নজরদারি চালাব। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, ১২ডিসেম্বর থেকে জেলায় ধান কেনা শুরু হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জেলায় ধান কাটার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন ঝাড়াই বছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। এইসময় কৃষকরা মাঠের ধান বিক্রি করে শীতের মরশুমে চাষ শুরু করেন। জেলায় বেশ কিছু ব্লকে গ্রীষ্মকালেও ধান চাষ হয়। তার খরচও অনেকের এই ধান বিক্রি করে উঠে আসে। নবগ্রামের চাষি পলাশ মণ্ডল বলেন, এইসময় জমির সব ধান বিক্রি হয় না। চাষের খরচের জন্য যতটা পরিমাণ ধান বিক্রি দরকার হয় ততটাই করা হয়। তবে আরও কিছুদিন আগে ধান কেনা শুরু হলে ভালো হতো। অনেকেই ইতিমধ্যেই ধান ঝাড়াই করে নিয়েছেন। জেলায় প্রশাসন দেরিতে ধান কিনতে শুরু করায় অনেকেই ফড়েদের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আর এক চাষি শ্যামল মণ্ডল বলেন, অনেক চাষিই আগে থেকে ফড়েদের কাছে থেকে টাকা নেয়। ওরা ঘরে এসে ধান কিনে নিয়ে যায়। চাষিদের হাতে সময় থাকে না। কারণ একদিকে যেমন ধান ঝাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে আবার অন্যদিকে শীতের চাষও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই অনেকেরই ক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ধান বিক্রির সময় হচ্ছে না। অনেকেই ফড়েদের ধান দিচ্ছে। তবে পরে চাষিরা ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে বাকি ধান বিক্রি করবে।