পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
খাদি ও হস্তশিল্পের প্রসার ঘটাতে বেশ কয়েকবছর ধরে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে জোনাল লেভেল খাদি মেলা। গতবছর মুর্শিদাবাদ জেলায় মেলা হয়েছিল এফইউসি মাঠে। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, সেভাবে সাড়া না মিললেও দৈনিক গড়ে পাঁচ লক্ষ টাকার বিক্রি হয়েছিল মেলার মাঠ থেকে। এবার বিক্রি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত ৬ডিসেম্বর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল প্রমুখ।
এবার মেলায় পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি জেলা সহ কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, নয়াদিল্লি, মধ্যপ্রদেশ থেকে বিক্রেতারা এসেছেন। বিরাট মাঠে মোট ১৭৬টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন বেলা তিনটে থেকে মেলার গেট খোলার কথা থাকলেও ক্রেতাদের চাপে তার অনেক আগেই দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে। অবাধ প্রবেশ হওয়ায় এই মেলায় গড়ে ১০হাজারেরও বেশি মানুষ আসছেন বলেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মেলা উপলক্ষে বিশেষ ছাড় সহ তিন হাজার টাকার কেনাকাটার উপর লাকি ড্র কুপন দেওয়া হচ্ছে। লাকি ড্র হবে মেলার শেষ দিন ১৭ডিসেম্বর। বালুচরি, জামদানি, সিল্ক সহ খাদির উৎপাদিত সামগ্রী পুরস্কার হিসেবে বিজেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সেদিন। দেবর্ষিবাবু বলেন, খাদির বস্ত্রে সারা বছর ১৫শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা কালীপুজোর আগে মেলা উপলক্ষে ২০শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছি। উৎপাদকরা এই ছাড়ের টাকা রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই পেয়ে যাবেন।
এবারের মেলায় বিক্রির বহর দেখে আয়োজক থেকে শুরু করে বিক্রেতারা উচ্ছ্বসিত। কনকনে ঠান্ডায় রাত সাড়ে ন’টা-দশটা পর্যন্ত প্রতিটি স্টলে কম বেশি ক্রেতাদের ভিড় থাকায় এবার বিক্রেতারা খুশি। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্বোধনের দিনই বিক্রি হয়েছে ৬লক্ষ টাকার। যত দিন গড়িয়েছে বিক্রির হার লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। গত পাঁচ দিনে বিক্রি হয়েছে ৫৫লক্ষ ২০হাজার টাকার সামগ্রী। নদীয়ার গ্রামীণ শিল্প সংস্থা বেশ কয়েক বছর ধরে বহরমপুর জোনাল লেভেল মেলায় অংশগ্রহণ করছে। শিল্প সংস্থার কর্মী সামিম আলম বলেন, এবার সর্বোচ্চ সাড়া মিলেছে। মেলার স্থান পরিবর্তন তার অন্যতম কারণ হলেও খাদির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধিও আর একটি কারণ। আমাদের স্টলে দৈনিক গড়ে ২৫হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। মালদহের গৌড় রেশম সমিতির কর্ণধার বিনয় ঘোষ বলেন, সিল্ক, তসর, ঘিচা সবেতেই ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে। গত পাঁচ দিনে বিক্রি দেড় লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে।