রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন বিকেলে গ্রাম থেকে কয়েকটি মাঠ পেরিয়ে একরখি পুকুর পাড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। ওই পুকুর পাড়ে কয়েকজন শিশু ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। বিপদের আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা আল ধরে দৌড়ে পুকুর পাড়ে আসেন। কিন্তু অল্পের জন্য বেঁচে যায় জনা দশেক শিশু।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কে বা কারা ওই পুকুর পাড়ের ঝোপে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানেই প্লাস্টিক জারে লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে যায়। সুব্রত লেট নামে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্র বলে, আমরা ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা এদিকে ওদিকে দৌড়ে পালাতে শুরু করি।
পরে গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন, ওই পুকুর পাড়ের কলা গাছের নীচে প্লাস্টিক জারে আরও বোমা রাখা হয়েছে। পাশেই জ্বলছে আগুন। তাঁরা তড়িঘড়ি পুলিসকে খবর দেন। পরে সন্ধ্যার দিকে পুলিস এসে প্লাস্টিক জার থেকে পাঁচটি বোমা উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর এই এলাকায় দিনেরবেলা তৃণমূল কর্মী মোশারফ হোসেন ওরফে বাবুল খানকে বোমা ছুঁড়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে অপর গোষ্ঠীর কামরুল শেখ ওরফে কামা ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। এঘটনায় কামা সহ ১৮ জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবার। ধারাবাহিক তল্লাশি চালিয়ে ওই গ্রাম থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে পুলিস। গ্রামবাসী নজরুল শেখ, আলামিন শেখদের দাবি, এই খুনের ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরাই বাড়িতে মজুত থাকা বোমা রাতের অন্ধকারে পুকুর পাড়ে রেখে দিয়ে যাচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।