কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আশ্রম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই নাবালিকাকে এর আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। দু’জনেই পকসো আইনের মামলায় উদ্ধার করা হয়। গত ২৭মার্চ একজনকে পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণি থেকে এবং ২জুলাই অপরজনকে জেলা সদর তমলুক থেকে উদ্ধার করেছিল সংশ্লিষ্ট থানার পুলিস। পুলিস তাদের পাঁউশির এই হোমে পাঠিয়েছিল। জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির ব্যবস্থাপনায় এই স্নেহচ্ছায়া হোমে(জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট-এর অধীন হোম) ঠাঁই হয় দু’জনের। পরবর্তী সময়ে দু’জন এখানেই সন্তান জন্ম দিয়ে মা হয়। দু’জনেই এখনও নাবালিকা এবং তাদের বয়স আঠারো বছর হয়নি। তাদের দুই সন্তানেরই এদিন ঘটা করে অন্নপ্রাশনের আয়োজন করা হয়। হোমে অন্নপ্রাশন উপলক্ষে চারদিক বেলুন সহ নানা সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। যাবতীয় উপচার মেনে দুই শিশুকে বরণ করে নেওয়া হয় এবং তাদের অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান হয়। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন দিলীপ দাস, আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করণ সহ জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির সদস্যরা। এই আশ্রমের আবাসিকদের সকলেরই ‘পিতা’ হলেন বলরামবাবু। অর্ণব ও অনন্যার ‘পিতামহ’ বলরামবাবু ওই দুই শিশুকে কোলে নিয়ে প্রাণভরে আশীর্বাদ করেন। আশ্রমের আবাসিক ছেলেমেয়ে, আশ্রমের কর্মী সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে ছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও। আশ্রমের কর্মীরা ছাড়াও অনেকেই উপহারসামগ্রী হাতে তুলে দিয়ে অর্ণব ও অনন্যাকে আশীর্বাদ করেন।
কুন্তি ও গান্ধারী বলে, আমরা একটা সময় অসহায় পরিস্থিতিতে এই আশ্রমে এসেছিলাম। আমাদের সন্তানদেরও যে অন্নপ্রাশনের আয়োজন করা হবে, তা প্রথমটায় ভাবতে পারিনি। এখন শুধু চাইব, ওরা সবসময় ভালো থাকুক। আমরা ওদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবেই গড়ে তুলব।
জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন বলেন, নিঃসন্দেহে খুবই ভালো উদ্যোগ। এরকম একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আর বলরামবাবু বলেন, ওই দুই শিশু ও তাদের মায়েরা যতদিন এই হোমে আবাসিক হিসেবে থাকবে, ততদিন তাদের সমস্ত ভালো-মন্দের দায়িত্বভার আমাদের।