কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সম্প্রতি মহিলা তৃণমূলের রাজ্য নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কৃষ্ণনগরে বৈঠক করেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমরা যেখানে যা ভোট পেয়েছি তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট মহিলাদের রয়েছে। মহিলারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাই আগামী পুর নির্বাচনে আপনাদের বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রিমাদেবীর বৈঠকের পরই জেলার মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী তথা মন্ত্রী রত্না ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিক রিক্তা কুণ্ডু সঙ্গে অন্যান্য নেত্রীরা আলোচনায় বসেন। সেখানে এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে। একদম এলাকা ধরে ধরে কোথায় কোন নেতৃত্ব কাজ করবে তা ঠিক করা হয়েছে। সঙ্গে বুথ শক্তিশালী করার উপরও এবার বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
নদীয়া জেলায় পুরসভার সংখ্যা ১১টি। যারমধ্যে রয়েছে কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, শান্তিপুর, রানাঘাট, বীরনগর, তাহেরপুর, কুপার্স ক্যাম্প, কল্যাণী, গয়েশপুর, চাকদা, হরিণঘাটা। মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগর এবং চাকদা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেখানে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কাজ করছে। তবে এখানে আসন সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি হয়ে গিয়েছে। ফলে যেকোনও দিন নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, কুপার্স ছাড়া বাকি সব কটি পুরসভারই মেয়াদ আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। সেখানে আসন সংরক্ষণের পর ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা যাবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়েই ভোট হতে পারে। তৃণমূল বর্ষ শেষের আগেই মাঠে নামতে চলেছে। এব্যাপারে বেশি তৎপরতা চোখে পড়ছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের। দলের এক নেত্রী বলেন, এই জেলা থেকে একদিকে একজন মহিলা মন্ত্রী, অন্যদিকে সভাধিপতিও মহিলা, সঙ্গে সংসদ সদস্য তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রীও মহিলা। ফলে জেলার যেকোনও নির্বাচনে নদীয়ায় মহিলা নেত্রীদের বড় ভূমিকা থাকবে।
গত লোকসভা ভোটে বেশিরভাগ পুরসভা এলাকাতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। কেন মানুষ তাঁদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, বুথ স্তরে তৈরি কমিটি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তা খুঁজে বের করবে। এব্যাপারে রত্নাদেবী বলেন, এটা তো অস্বীকার করা যাবে না, লোকসভায় আমাদের ফলাফল কিছুটা খারাপই হয়েছিল। এত কাজ, এত কিছুর পরও কেন তা হল তা জানতে আমরা বুথ ভিত্তিক মহিলা কর্মীদের দল তৈরি করছি। কাগজ কলম হাতে এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভাব অভিযোগ, কারও আচরণে যদি কেউ কষ্টও পায়, সেই সবটা শুনে তা লিখতে হবে। ওই বাড়িরই মহিলা কাউকে দিয়ে তাতে স্বাক্ষর করিয়ে আনবে। পরে পুরসভা ভিত্তিক যে নেত্রীদের দায়িত্ব দেওয়া থাকছে, তাঁদের কাছে সেই কাগজগুলির একটি করে কপি জমা দিতে হবে। তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে। আমরা আগামী ১৫ বা ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই বুথ মিটিং শুরু করে দিতে বলছি। কোথাও হয়ত আমরা মানুষের থেকে একটু বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সব খামতি মিটিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। রিক্তাদেবী বলেন, এই জেলায় মহিলা তৃণমূল কর্মীদের দায়িত্ব অনেকটাই বেশি। দলনেত্রী যেহেতু এখানে মহিলা নেতৃত্বকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন, আমাদেরও যথাযথভাবে কাজ করার দায়িত্ব থাকছে। চন্দ্রিমাদির বৈঠকের পর আমাদের কর্মীরা খুবই উজ্জীবিত। আমরা একটুও দেরি না করে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছি। দলীয় সূত্রে খবর, জেলার চারজন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টকে বুথ স্তরের কাজ মনিটারিংরের জন্য সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকতে বলা হয়েছে। কল্যাণী মহাকুমার দায়িত্বে রয়েছেন কাজুরি ভাদরি, রানাঘাটের দায়িত্বে বিজলি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগরের দায়িত্বে রয়েছেন তারান্নুম সুলতানা, তেহট্ট দায়িত্বে রয়েছেন টিনা ভৌমিক।