গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই ঠিকা শ্রমিক হাউস কিপিংয়ের কাজ করতেন। কারখানা সম্প্রসারণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। সোমবার ওই শ্রমিক প্রকল্প এলাকা দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন, সেই সময় উপর থেকে একটি কাঠ ছিটকে এসে তাঁর মাথায় পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই খবর কারখানায় এসে পৌঁছাতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। খবর পেয়ে চলে আসেন মৃতের পরিবারের লোকজনও। কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে। ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ময়না তদন্ত করে নিয়ে যাওয়ার পর কারখানার গেটে মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ চলে। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ক্ষতিপূরণের দাবি-দাওয়া নিয়ে চলে টনাপোড়ান। জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয় যা কর্তৃপক্ষের পক্ষে মানা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে না সরায় বিক্ষোভ রাত গড়িয়ে সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। পরে অবশ্য আন্দোলনকারীরা নরম হলে সমাধানসূত্র বের হয়।
আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, কর্তপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক ও পরিবরারের লোকদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ফলে বিক্ষোভ উঠে যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষে জয়ন্ত ঘোষ বলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা। নিহত শ্রমিকের ওই পথ দিয়ে যাওয়ার কথা নয়। হঠাৎ তিনি ওই পথ দিয়ে যান। আর তাঁর মাথায় কাঠ পড়ে যায়। এর আগে আমাদের কারখানায় এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, মৃতদেহ ফেলে রেখে এদিন সকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ হয়েছে। পরে অবশ্য একটা সমাধানসূত্র পাওয়া যায়।
জয়ন্তবাবু বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয়েছে, মৃতের পরিবারকে এককালীন একটা টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রতি মাসে তাঁর পরিবারকে টাকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, কারখানায় শ্রমিক-সুরক্ষার সমস্ত রকম ব্যবস্থাই আছে। শ্রমদপ্তরের নির্দেশে ওই প্রকল্পের নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।