রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ও দাবিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক অমর শাকা বলেন, আমরা কাউকে ভয় দেখিয়ে দলে আনিনি। আর ভয় দেখিয়ে দলে আটকেও রাখিনি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, তাই লোকসভা নির্বাচনের পর বেশকিছু পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যেতে পেরেছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বাঁকুড়া জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হন। তারপরেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। ওই হিড়িকে সবথেকে বেশি সাড়া পড়েছিল জেলার ওন্দা ব্লকে। রাতারাতি ব্লকের রতনপুর, চুড়ামণিপুর, চিঙ্গানি, কল্যাণী, কাঁটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ নির্বাচিত সদস্যদের অধিকাংশ দলবদল করায় বিজেপির দখলে চলে যায়। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েক বছর ধরে চলা রতনপুর অঞ্চল পার্টি অফিসের ঝাঁপ বন্ধ হয়। ব্যক্তিগত মালিকানার ওই জায়গাটি নিজের কব্জায় নিয়ে নেন মালিক। তারপর থেকেই রতনপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কার্যালয় ছিল না। কয়েকজন নেতা বাড়ি থেকেই কোনওরকমে দলের কাজকর্ম চালাচ্ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে শাসকদল বাকি চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিলেও এখনও পর্যন্ত রতনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ১৫জন সদস্যের মধ্যে প্রধান সহ ৯জন বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছেন। তাই দলকে চাঙ্গা করতে এদিন মন্ত্রী, ব্লক সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অংশুমান চক্রবর্তী, ব্লক নেতা ভবানী মোদক সহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা রতনপুর বাজারে একটি মিছিল করেন। পরে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা রতনপুর বাজারে একটি তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।