রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সোমবার এই ঘটনা নিয়ে শহর ও গ্রামজুড়ে গুঞ্জন ছড়ায়। নবদ্বীপ শহর বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি শিবশঙ্কর মণ্ডল এবং স্থানীয় নেত্রীর অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে হাতে হাতে ঘুরতে থাকে। যার জেরে নবদ্বীপের শহর থেকে গ্রামজুড়ে শুরু হয় গুঞ্জন। বিজেপির নদীয়া উত্তর জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারের কাছে খবরটি যেতেই তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে বর্তমানে জেলা বিজেপির নির্বাচনী রিটার্নিং অফিসারের কাছে দু’জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। তারপরই সাময়িকভাবে দু’জনকেই দলের সমস্ত কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও জানানো হয়। অভিযুক্ত বিজেপির নবদ্বীপ শহর দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি শিবশঙ্কর মণ্ডল বলেন, বিষয়টি নজরে আসতেই জেলা নেতৃত্বকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত হয়েছে সেব্যাপারে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যথাযথভাবে তদন্ত করতে কৃষ্ণনগরে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অন্যদিকে, বিজেপির যে মহিলা নেত্রীকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তারসঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মহাদেব সরকার বলেন, সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ বিষয়টি আমার নজরে আসে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শিবশঙ্কর মণ্ডলকে শোকজ চিঠি পাঠাই। শিবশঙ্কর মণ্ডল বিকালে আমার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে জানায়, সে কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইম থানায় তার বিরুদ্ধে ওঠা বিষয়টি তদন্তের জন্য আবেদন করেছে। আপাতত বিজেপির সমস্ত রকম দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। আমাদের এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে। আমার একার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। কাজেই শিবশঙ্করের পদত্যাগপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, নবদ্বীপে বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি হিসেবে অনেকগুলি নাম জমা পড়েছে। যেহেতু আমাদের এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে তাই সব নাম নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবে।