পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে খণ্ডঘোষ থানারই শাঁকারি গ্রামের বাসিন্দা দেবু ধাড়ার মেয়ে সঞ্চিতার সঙ্গে শ্রীকান্তর বিয়ে হয়। বিয়েতে চাহিদামতো পণ দেওয়া হয়েছিল। সঞ্চিতার একটি বছর চারেকের মেয়ে আছে। তিনি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে শ্রীকান্ত পেটে লাথি মারে। তার ফলে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। মৃত সন্তান প্রসব করেন সঞ্চিতা। সেটিও কন্যাসন্তান ছিল। এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। সোমবার শ্বশুরবাড়িতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সঞ্চিতার। তাঁকে খুনের পর গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের হুকে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্চিতার বাবা।
অন্যদিকে, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। ধৃতের নাম মনিরুল মণ্ডল। খণ্ডঘোষ থানার গুইর গ্রামে তার বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, গুইর গ্রামেই বছর বাইশের ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীকে রায়না থানার সেহারাবাজারে ভাড়াবাড়িতে রেখে অসমের গুয়াহাটিতে কর্মস্থলে চলে যান গৃহবধূর স্বামী। তারপর থেকে গৃহবধূ একাই ভাড়াবাড়িতে থাকেন। স্বামীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে মাঝেমধ্যেই গৃহবধূর ভাড়াবাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল মনিরুলের। এবছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটে। সেদিন বাড়িতে এসে গৃহবধূকে মনিরুল ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের ছবি সে মোবাইলে তুলে রাখে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি থানায় জানান গৃহবধূ। পুলিস সক্রিয় না হওয়ায় সিজেএম আদালতে মামলা করেন গৃহবধূ।