পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, যেসব জায়গায় এই সুতো বিক্রি হচ্ছে সেখানে পুলিসি অভিযান শুরু করা হবে। বাসিন্দাদের সচেতন করারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই সময় স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই খড়্গপুর ও মেদিনীপুর শহরে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু হয়ে যায়। চলে পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত। এক সময় বাড়িতে কাচগুঁড়ো করে সুতোয় মাঞ্জা দেওয়ার চল ছিল। সাগু ও কাচগুঁড়োর মাঞ্জা দিয়ে রোদে সুতো শুকানো হতো। সেই সুতোতেই চলত ভোকাট্টা। গত কয়েক বছর ধরে মাঞ্জা সুতো কিনে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু হয়েছে। এই সুযোগে বাজার ধরেছে চীনা সুতো। সস্তা ও কার্যকরী হওয়ায় সুতোর বিক্রিও বেড়ে যায়। সেই সুতো দিয়েই ঘুড়ি ওড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে দুই শহরে। যার বলি হতে হল এই স্কুলছাত্রকে।
এই ঘটনা ঘটার পর চীনা সুতো বিক্রি বন্ধের দাবিতে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। নিহত ছাত্রের বাবা মহম্মদ সরফরাজ বলেন, ও যখন সাইকেলে করে বোনকে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় ওখানে কয়েকজন ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। ঘুড়ির সুতো ওর গলায় পেঁচিয়ে যায়। ও বারবার চিৎকার করে টানতে বারণ করে। কিন্তু সুতোয় টান পড়ে যাওয়ায় গলা কেটে যায়। এলাকার কাউন্সিলার তথা খড়্গপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ হানিফ বলেন, ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে ছেলেটা মারা গেল! খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।