কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসতিনেক আগে ওই গ্রামে দুর্ঘটনায় একটি হনুমান মারা যায়। তারপরই গ্রামবাসীরা এলাকায় একটি হনুমান-মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। মন্দির তৈরির জন্য গ্রামের রাস্তার পাশে একটি খাস জায়গা চিহ্নিত করা হয়। এদিকে চিহ্নিত ওই জায়গার পাশেই এক ব্যক্তির চাষের জমি রয়েছে। এখানে মন্দির তৈরি হলে তাঁর জমিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। মন্দির নির্মাণ করার তোড়জোড় শুরু হতেই জোর আপত্তি তোলেন ওই ব্যক্তি। এমনকী, জোর করে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে গ্রামের কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় এবং প্রশাসনিক মহলে অভিযোগ দায়ের করেন। এনিয়েই গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয়। উত্তেজনা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, যে কোনও সময় গণ্ডগোল লেগে যেতে পারে, এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে বিতর্কিত জায়গার পাশে বেশ কিছুদিন আগে ঝুপড়ির আকারে অস্থায়ী ক্যাম্পও তৈরি করা হয়। স্থানীয় উদ্যোগে তৈরি সেই ক্যাম্পে মাঝেমধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়াররা পালা করে থাকতেন এবং টহল দিতেন। এতদিন সেভাবে কোনও ঝামেলা হয়নি।
রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তা থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তাঁকে কেন আটক করা হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে গ্রামবাসীদের একাংশ জড়ো হয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকেই একটি জায়গায় আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিস বাহিনী তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পুলিসকর্মীদের উপর কোনও হামলা না হলেও পুলিসের একটি জিপে ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীদের একাংশ। তাতে অগ্নিসংযোগ করে পাশ্বর্বর্তী ধানের জমিতে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী পুলিসকর্মীদের দু’টি বাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা কার্যত সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পান। যদিও আটক ব্যক্তিকে ছাড়ার পর ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতের মধ্যেই অতিরিক্ত পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
কাঁথির মহকুমা পুলিস আধিকারিক অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সবকিছু খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করা হবে। বিষয়টি আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।