কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ৬ডিসেম্বর অন্যান্য জেলার সঙ্গে পুরুলিয়া জেলা সভাপতি হিসেবে বিদ্যাসাগরবাবুকেই পুনরায় নিয়োগ করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিদ্যাসাগরবাবুকে পুনরায় সভাপতি নিয়োগের পর আরও জোরকদমে কাজ শুরু করেছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় বিদ্যাসাগরবাবুর সভাপতিত্বে দলের সাফল্য এবং সংগঠনগত ভাবে তৃণমূলকে প্রতি ইঞ্চিতে লড়াই দেওয়ার ক্ষমতাকেই কার্যত স্বীকৃতি দিল দলের রাজ্য নেতৃত্ব।
গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে বিজেপি পুরুলিয়া জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে মোট ২৪৩জন সদস্য জয়ী হন। ২০১৩সালে বিজেপি এককভাবে গোটা জেলায় মাত্র আটজন সদস্য জয়ী হন। ২০১৬ সালের বিধানসভাতেও ভোট ব্যাঙ্কে তেমন থাবা বসাতে পারেনি বিজেপি। পরে ২০১৬সালের জুন মাসে প্রথমবারের জন্য জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তারপরই ২০১৮সালে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য পায় বিজেপি।
পুরুলিয়ায় বিজেপির ওই সাফল্যের বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, ২০১৮সালে পঞ্চায়েত ভোটে তিনটি স্তরে মোট ৭০০জনেরও বেশি জনপ্রতিনিধি বিজেপির প্রতীকে জয়ী হন। তারমধ্যে ১০জন জেলা পরিষদ সদস্যও রয়েছেন। এবারই প্রথম পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বিজেপির। একই সঙ্গে ভোটের পর এককভাবে ৪টি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ৮টি পঞ্চায়েত সমিতিতেও এগিয়েছিল বিজেপি। পরে কয়েকজনকে তৃণমূল জোর করে দল ছাড়তে বাধ্য করে। এই প্রথম জেলার মধ্যে রঘুনাথপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি এককভাবে দখল করে বিজেপি। তাছাড়া বাঘমুণ্ডি ও বরাবাজারেও জোট করে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০১৯সালের লোকসভা ভোটে প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে এই সাফল্যের জন্য পুরুলিয়া জেলার বিজেপির প্রতিটি কর্মী এবং নেতা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তৃণমূলের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে লড়াইয়ের মানসিকতায় সাফল্য এনে দিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটে রাজ্যের অন্যান্য কিছু জেলায় বিজেপি ভালো ফলাফল করলেও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই দিতে পেরেছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। সেই সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইকে পুরুলিয়া জেলায় অন্যমাত্রা দিতে সক্ষম হওয়ার ক্ষেত্রে জেলা সভাপতির অবদান রয়েছে। তাই বিধানসভা ভোটে সাফল্যের জন্য বিদ্যাসাগরবাবুকে পুনরায় জেলা সভাপতি নির্বাচিত করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। একই সঙ্গে আগামী বিধানসভা ভোটে জয়ের জন্য বিদ্যাসাগরবাবুকে সামনে রেখেই ঘুঁটি সজাতে চাইছে জেলা বিজেপি। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
এবিষয়ে বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। ২০২১ সালের আগে খানিকটা সময় রয়েছে। তবে আগে জেলায় সংগঠন ঢিলেঢালা ছিল একথা সত্যি। বর্তমানে পুরুলিয়া জেলার সংগঠন কংক্রিটের ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার মাধ্যমেই সাফল্য আসবে বিধানসভা ভোটেও।