কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলায় এই রোগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ২০জনের বেশি আক্রান্ত রয়েছেন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। অনেকে নার্সিংহোমেও চিকিৎসা করাচ্ছেন। অমৃতকুণ্ডুর বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আমার এক আত্মীয় প্রথম এই রোগে মারা যান। তিনি কলকাতায় একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই রোগ ধরা পড়ে। তারপর থেকেই এই রোগ সম্পর্কে জেলার মানুষ অবহিত হয়। আমাদের গ্রামেরও এক যুবক মারা গিয়েছেন। উগ্র ভাটপাড়ার ওই নাবালিকার বাবা বলেন, স্ক্রাব টাইফাস সম্পর্কে আগেই ওয়াকিবহাল থাকায় দেরি না করে মেয়ের রক্ত পরীক্ষা করি। শুরুতেই চিকিৎসা শুরু হওয়ায় আশঙ্কার কিছু নেই বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইড লাইন অনুযায়ী এই রোগ সম্পর্কে জেলায় প্রচার শুরু হয়েছে। কন্যাশ্রীর মেয়েদেরও এই রোগ মোকাবিলায় নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ে ইতিমধ্যে সূতি-২ ব্লকে কর্মশালা করা হয়েছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বিভিন্ন ব্লকে বৈঠকে গিয়ে আধিকারিকদের এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলা করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যে কোনও সরকারি হাসপাতালেই এই রোগের চিকিৎসা করানো হয়।
স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, এই ধরনের পোকা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করে। সঙ্গে সঙ্গে তা বোঝা যায় না। কয়েক দিন পর থেকে জ্বর আসতে থাকে। সঙ্গে হাতে পায়ে ব্যথাও শুরু হয়ে যায়। গা বমি বমি করতে থাকে। মাথাব্যথাও হতে থাকে। জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, এইসময় ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় থাকতে হয়। তা নিয়ে পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করে। কিন্তু এবার জেলায় ডেঙ্গুর চেয়েও স্ক্রাব টাইফাস আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে। রক্ত পরীক্ষায় তাদের কারও ডেঙ্গু আবার কারও স্ক্রাব টাইফাস ধরা পড়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল, কান্দি হাসপাতালেও অনেকেই ভর্তি রয়েছেন। এমনকী ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও অনেকেই জ্বর নিয়ে আসছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা বলছেন, শুরুতেই এই অসুখ ধরা পড়লে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়ানো হলেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়। দেরি হলেই সমস্যা হয়। মাইট নামে এক ধরনের ছোট পোকার আক্রমণে এই রোগ হচ্ছে। এই ধরনের পোকা সাধারণত ঝোপের মধ্যে বেশি থাকে। তাই জঙ্গল বা ঝোপের মধ্যে শিশুদের না যেতে দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।