পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গোঘাট-১ বিডিও সুরশ্রী পাল বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কোনওরকম অনিয়ম হচ্ছে না। যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁদের বলা হয়েছে, লিখিতভাবে বিষয়টি আমাকে জানাতে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থ বছরে ভাদুর নিমতলা ঘাট থেকে সাঁতরা দেব খাল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সংস্কারের কাজ শুরু হয়। পঞ্চায়েতের তরফে ১০০ দিনের প্রকল্পের অধীনস্থ শ্রমিকদের দিয়ে ওই খাল সংস্কারের কাজ করানো হচ্ছিল। মাঝে কাজ বন্ধ থাকলেও ৬ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়। যদিও শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, এই কাজের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজাররা তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলের ও আত্মীয়-পরিজনদের জবকার্ড তৈরি করেছেন। এমন অনেক জবকার্ড হোল্ডার রয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত অর্থে কোনওদিনই শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন না। তারই প্রতিবাদে এদিন সকালে কাজে আসা প্রায় ৮৫ জন শ্রমিক সুপারভাইজারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রকল্পের এক সুপারভাইজার তপন কুমার গড়াই। তিনি বলেন, এখানে নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে। যে সকল জবকার্ড হোল্ডার রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ থাকায় তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসে কাজ করছেন। অনিয়মের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এবিষয়ে ৪৬ জেডপির বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ১০০ দিনের কাজে ভাদুর অঞ্চলের ৪ নম্বর সংসদে সম্পূর্ণ অনিয়ম চলছে। বিজেপি সমর্থিত কর্মীদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না।
পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিনাথ রায় বলেন, আমরা কখনই দলীয় রং দেখে কাজ করি না। ১০০ দিনের কাজে এলাকাভিত্তিক শ্রমিকদের কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। বিজেপির পক্ষ থেকে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমাকে কেউ এনিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি।