কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ফি বছর বড়দিনের ছুটির অপেক্ষায় থাকেন রাজ্যবাসী। কোথায় বেড়াতে যাবে তা আগে থেকেই প্ল্যান ঠিক হয়ে যায়। সেইমতো ট্রেনের টিকিটও বুকিং করেন অনেকে। যাঁদের একাংশের ঠিকানা হয়ে ওঠে বামাখ্যাপার সাধনস্থল তারাপীঠ। ২৫ডিসেম্বর অনেকে শান্তিনিকেতন ঘুরে রাতের দিকে তারাপীঠে আসেন। পরের দিন পুজো দিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। তবে, এবছর সূর্যগ্রহণের জন্য সেই সমস্ত মানুষকে প্ল্যানে কিছুটা বদল আনতে হবে। কারণ, ২৬ ডিসেম্বর একবেলা তারা মায়ের পুজো বন্ধ থাকবে। এদিকে, একবেলা মায়ের পুজো বন্ধ থাকার কারণে কিছুটা হলেও আশাহত লজ ব্যবসায়ীরা।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ ৯ পৌষ সূর্ষগ্রহণ। গ্রহণ চলাকালীন তারা মায়ের কোনও পুজো করার চল নেই। তাই ওইদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা ৩৬মিনিট পর্যন্ত দেবী তারা দর্শনের জন্য গর্ভগৃহ খোলা থাকলেও কোনও ভক্ত মাকে স্পর্শ করে পুজো নিবেদন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পড়েছে। এমনিতেই সপ্তাহের এই দিনটিতে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। তার উপরে এবছর বৃহস্পতিবার বড়দিনের ছুটি পড়ায় ভক্ত সমাগম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ফলে সেই সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের সমস্যায় ফেলতে পারে সূর্যগ্রহণ।
যদিও ভক্তদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারাময়বাবু বলেন, বৃহস্পতিবার মায়ের বিশেষ দিন। ওইদিন মাকে লাল জবার মালা পরিয়ে পুজো দিতে ভক্তদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তিনি বলেন, নিত্যদিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে মা ভক্তদের পুজো গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু, সূর্যগ্রহণের দিন ভক্তদের সুবিধার জন্য ভোর ৩টে থেকে সেই পুজো শুরু হবে। সকাল ৮টার আগেই পুজো দেওয়া বন্ধ করা হবে। দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণ কেটে যাওয়ার পর মাকে স্নান করানো হবে। তিনি বলেন, নিত্যদিন দুপুরে মাকে ১২টার সময় ভোগ নিবেদন করা হয়। কিন্তু, ওইদিন যেহেতু ১টা ৩৬মিনিট পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ চলবে, তাই তারপর ভোগ রান্না করে মাকে নিবেদন করা হবে। মাকে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়ার পর ফের ভক্তদের জন্য গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন যতক্ষণ ভক্তদের লাইন থাকবে ততক্ষণ মায়ের পুজো নেওয়া হবে। অর্থাৎ নিয়মানুসারে রাত ১০টার মধ্যেই মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিন ভক্তদের চাপ বাড়লে গভীর রাত পর্যন্ত মন্দির খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন যেহেতু একবেলা মন্দির বন্ধ থাকবে, সেহেতু আগের দিন বড়দিনে মাকে পুজো দিতে ভক্তের ঢল নামার সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে। তাই ওইদিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও পুলিস মোতায়েনের আবেদন করা হয়েছে।