বিএনএ, কৃষ্ণনগর: রবিবার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত জাহাঙ্গিরপুরের কাছে মারুতির সঙ্গে দু’টি মোটরবাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম অয়ন চট্টোপাধ্যায় (৪৩)। বাড়ি কৃষ্ণনগরের হাতারপাড়ায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় মারুতি গাড়ির চালক এবং ওই বাইকের চালক গুরুতর জখম হয়েছেন। আরও দু’জন জখম হন। সকলকেই কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিসের একটি সূত্রে খবর, বাইক আরোহীর অয়নবাবুর মাথায় হেলমেট ছিল না। ঘটনার পর ওই রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য যানজট তৈরি হয়। পরে মারুতি, বাইক সরানো হলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মারুতিটি কৃষ্ণনগর থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। উল্টোদিক থেকে দু’টি মোটরবাইক আসছিল। এরপরই দু’টি মোটরবাইকের সঙ্গে মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলেই অয়নবাবুর মৃত্যু হয়। দু’টি বাইকের মধ্যে একটিতে তিনি ছিলেন। অন্য বাইকে থাকা একজনও জখম হয়েছেন। কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ রোডে এই দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই যানজট তৈরি হয়। পুলিস সূত্রে খরর, জখমদের মধ্যে রয়েছেন বিপদ বিশ্বাস, খোকন বিশ্বাস, ছোটন সর্দার।
মারুতি গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি রিন্টু দাস বলেন, আমরা গাড়ির ভিতরে সাতজন ছিলাম। জামালপুরে যাচ্ছিলাম। ঠিক কী হয়েছে বুঝিনি। আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী সুমিত্রা মিস্ত্রি বলেন, একটা জোরে আওয়াজ হওয়ার পর রাস্তায় গিয়ে দেখি মোটররাইক ও গাড়ি দুটোই উল্টে রয়েছে। রাস্তায় কয়েকজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। যেভাবে তুবড়ে গিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মোটরবাইকের গতি অনেকটাই বেশি ছিল। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের মাথায় হেলমেট ছিল না। সারা বছর ধরে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে প্রচার, পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের পর হেলমেট মাথায় না থাকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।