বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক বিক্রম প্রধান বলেন, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়্গপুরের সভায় শুভেন্দুবাবুকে নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যেতে বলেন। শুভেন্দুবাবু এদিন বিকেলেই মাধববাবুর বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, শুভেন্দুবাবু নিহত কর্মীর স্ত্রী ললিতা ঘোড়াইয়ের হাতে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন। মন্ত্রী নিহত কর্মীর ছেলেকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি ওই ঘটনায় যাঁরা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব দল নেবে বলে মন্ত্রী জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে ঘোলাই গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। সেই ঘটনায় তৃণমূলের ছ’জন ও বিজেপির দু’জন কর্মী জখম হন। জখম তৃণমূল কর্মীদের প্রথমে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মাধববাবুকে কলকাতার পিজিতে রেফার করা হয়। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। সেই সময় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিল তৃণমূল। মাধববাবুর মৃত্যুতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। তাঁরা চান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
তৃণমূলের অভিযোগ, ওই দিন দলের কর্মীরা পার্টি অফিসের সামনে বসেছিলেন। সেই সময় বিজেপির একটি মিছিল আসছিল। ওই মিছিল থেকেই তাঁদের উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। বিক্রমবাবু বলেন, টাঙি, লোহার রড, শাবল দিয়ে কর্মীদের উপর আতর্কিতে হামলা করা হয়েছিল। ঘটনার পর গুরুতর জখম ছ’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, ওই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এলাকায় এসে বারবার যেভাবে তৃণমূল কর্মীদের মেরে ফেলার হুমকি দেন, এই ঘটনা তারই প্রতিফলন। তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপির আর এক নেতা জেলার প্রাক্তন পুলিস অফিসার ভারতী ঘোষও দাঁতনে এসে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মোশাফ মল্লিক বলেন, সেদিন তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে আমাদের মিছিলের পথ আটকানো হয়। তখন আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আমাদের কেউ হামলাও চালায়নি। তিনি বলেন, যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরাও চাই, ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের চরম শাস্তি দেওয়া হোক। কোনওভাবেই যেন প্রকৃত ঘটনা আড়াল না করা হয়।