কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা দৃশ্যদূষণ ঠেকাতে প্রথমে বিভিন্ন স্কুলের দেওয়ালগুলি বেছে নিয়েছি। সেখানে দেওয়ালজুড়ে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি ও বাণী লেখা থাকবে। তাতে এলাকার খুদে পড়ুয়ারা যেমন মনীষীদের কথা জানতে পারবেন, তেমনই দৃশ্যদূষণ ঠেকানো যাবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব বাগান পাড়ার একটি প্রাথমিক স্কুলের দেওয়ালে মনীষীদের ছবি আঁকার কাজ শুরু হয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু প্রভৃতি মনীষীদের ছবি ও তাঁদের জন্ম-মৃত্যু সাল লেখা হয়েছে। ভোটের আগে শহরের বিভিন্ন সরকারি দেওয়ালগুলিতে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের প্রচার করেছে। বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্র থেকে প্রতিশ্রুতিমূলক লেখা আছে তাতে। ভোটপর্ব মিটে গেলেও দেওয়াল থেকে তা মোছা হয় না। ফলে দৃশ্যদূষণ হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন দেওয়ালে বিজ্ঞাপনের পোস্টার ও হোর্ডিং রয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে বেসরকারি সংস্থাগুলির বড় বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংও রয়েছে। হোর্ডিংগুলিতে চটকদার ক্যাচলাইন লেখা রয়েছে। তাতে এলাকায় দৃশ্যদূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, পুরসভা দৃশ্যদূষণ রুখতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে ভালো কাজ দেবে। তবে হোর্ডিংগুলির ক্ষেত্রেও যদি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে দৃশ্যদূষণ আরও কমবে।
কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, নিতাই দাস, ব্রজগোপাল হাজরা বলেন, দৃশ্যদূষণ রুখতে মনীষীদের ছবি আঁকার উদ্যোগ খুবই ভালো। তাতে এলাকার নতুন প্রজন্ম মনীষীদের ভুলবে না। তেমনই শহরে হোর্ডিংগুলির ক্ষেত্রেও যদি ব্যবস্থা নেয়, তাহলে শহরের পরিবেশ আরও উন্মুক্ত হবে।