পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার আরামবাগের পারুল এলাকার বাসিন্দা সাহেব দাস তাঁর স্ত্রী মৌ দাসকে সঙ্গে নিয়ে খানাকুলের চন্দ্রবান এলাকায় মামাশ্বশুরের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ওইদিন রাতে সাহেববাবু তাঁর স্ত্রীকে নাচতে বলেন। কিন্তু, মৌদেবী না নাচায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম অশান্তি শুরু হয়। এরপর বউ ভাতের অনুষ্ঠান আগেই সাহেববাবু আরামবাগে ফিরে আসেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে মেয়ে মৌকে সঙ্গে নিয়ে মা সুলেখা বেরা জামাইয়ের বাড়িতে হাজির হন। অভিযোগ, এরপরই স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধর করে জামাই। পরে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে আসেন শ্বশুর বিকাশরঞ্জন বেরা। বিকাশবাবু বলেন, ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে জামাই মদ্যপ অবস্থায় মেয়েকে অন্য একজনের সঙ্গে নাচ করতে বলেছিল। কিন্তু, তাতে মেয়ে আপত্তি জানায়। তা থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। যে কারণে জামাই বউ ভাতের অনুষ্ঠানের আগেই আরামবাগের বাড়িতে ফিরে আসে। এদিন মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসতে গেলে জামাই আমার মেয়ে ও স্ত্রীর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে আমিও সেখানে গেলে আমাকেও ব্যাপক মারধর করে। জামাই কামড়ে আমার নাকের একাংশ ছিঁড়ে নিয়েছে। এর আগেও একাধিকবার ওরা মেয়ের উপর নির্যাতন চালিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় সাত মাস আগে আরামবাগ পুরসভার পারুল ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শঙ্কর দাসের বড় ছেলে সাহেবের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জি পাড়ার বাসিন্দা বিকাশবাবুর মেয়ে মৌয়ের। গৃহবধূর বাপেরবাড়ির পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মৌয়ের উপর বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো।
এব্যাপারে মৌ বলেন, আমি স্বামীকে নিয়ে সুখে থাকতে চাই। এটা কখনই আমার শাশুড়ি মেনে নিতে পারতেন না। যে কারণে ওরা বিয়ের পর থেকে আমার উপর অত্যাচার শুরু করে। এমনকী, প্রতিটি বিষয়েই আমাকে সন্দেহ করতে থাকে। এদিন মা আমাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসতে গিয়েছিল। সেই সময় ওরা আমার মাকে মারধর করে। পরে বাবা গেলে স্বামী কামড়ে নাক ছিঁড়ে দেয়।
এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাহেব দাস। তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে শ্বশুর ও শাশুড়ি আমাদের স্বামী স্ত্রীর প্রতিটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে থাকে। ওইদিন রাতে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে আমি মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম না। অনুষ্ঠানে আর পাঁচজনের মতো আনন্দ করবার জন্য আমি স্ত্রীকে নাচতে বলেছিলাম। কিন্তু, তারপরই স্ত্রী সকলের সামনে আমাকে চড় মারে। যে কারণে আমি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে আসি। এরপর এদিন সকালে শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালক এসে আমার বাবা ও মাকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমি প্রতিবাদ করায় ওরা আমাকেও ব্যাপক মারধর করে। আমি শ্বশুরমশাইয়ের নাকে কামড়ে দিইনি। মারধরের ঘটনার সময় তিনি পড়ে গিয়ে নাকে আঘাত পেয়েছেন।