কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত ২২অক্টোবর তমলুকে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে সুফল বাংলা বিপণির উদ্বোধন করেন কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তারপর রবিবার পর্যন্ত ২০লক্ষ টাকার বেশি জিনিসপত্র বিক্রি হয়ে গিয়েছে। শনিবার ৬২হাজার টাকার সব্জি, আলু, পেঁয়াজ, মুদি সামগ্রী ও দুগ্ধজাত সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। রবিবার বিক্রির পরিমাণ ৭০হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে খোলাবাজারে জ্যোতি আলু ২২টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুফল বাংলা বিপণীতে বিক্রি হচ্ছে ১৯টাকা দরে। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৯টাকা দরে। রবিবার ১১বস্তা পেঁয়াজ আনা হয়েছিল। প্রতি বস্তায় ৫০কেজি ছিল। আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই ১১বস্তা পেঁয়াজ ভ্যানিস হয়ে যায়। আলু সহ অন্যান্য শাকসব্জি খোলা বাজারের তুলনায় বেশ খানিকটা কম দরে বিক্রি হওয়ায় ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।
রবিবার তমলুক শহরে নাসিকের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০টাকা কেজি দরে। স্থানীয় পেঁয়াজ ১২০-১৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সুফল বাংলা বিপণিতে অনেকটা কম দরে বিক্রি হওয়ায় সেখানে তমলুক, মহিষাদল, নন্দকুমার, শ্রীরামপুর, ময়না, শহিদ মাতঙ্গিনী প্রভৃতি এলাকা থেকে মানুষজন আসছেন। ভোর থেকেই মানুষজন বিপণির সামনে অপেক্ষা করছেন। গেট খোলামাত্র ধাক্কাধাক্কি সহ ভিতরে ঢোকা শুরু। তারপর পেঁয়াজ বাছার সময় আরও একপ্রস্ত লড়াই করতে হচ্ছে। রবিবার বিপণির এক কর্মী বলেন, ক্রেতাদের স্বার্থেই এই বিপণি খোলা হয়েছে। এখানে পুলিস কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হোক, সেটা আমরা চাই না। তাই সকলের কাছ থেকে সহযোগিতা চাইছি। হুড়োহুড়ি করলে তাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা থাকে।
রবিবার শ্রীরামপুর থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন দীপক মান্না। তিনি বলেন, গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে একমাত্র এই বিপণি থেকেই সরকারি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। অন্যত্র এই ব্যবস্থা থাকলে এতটা ভিড় এখানে হতো না।
সুফল বাংলা বিপণির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নবদিশা ফার্মার প্রডিসিউসার্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু বাগ বলেন, খোলা বাজারের তুলনায় সুফল বাংলা বিপণিতে জিনিসপত্রের দাম বেশ কম। তাছাড়া সরাসরি চাষির জমি থেকে শাকসব্জি তুলে আনা হচ্ছে। সকালে ও বিকেলে দু’বার করে সব্জি ভর্তি গাড়ি ঢুকছে। ন্যায্যমূল্যে এবং টাটকা সব্জি নেওয়ার জন্য এতটা ভিড় হচ্ছে। তাছাড়া ৫৯টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এই সুবিধা পেতে অনেকেই আসছেন। রবিবার ১১বস্তা পেঁয়াজ এনেছিলাম, মুহূর্তেই শেষ। শাকসব্জির ক্ষেত্রেও তাই।