পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন বিকেলে সাঁইথিয়া ব্লকের কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রতবাবু মোদির সমালোচনা করে বলেন, মোদি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করেননি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বস্তরের মানুষের কাজ করে চলেছেন। অঙ্গনওয়াড়ি সহ একাধিক প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মানুষের স্বার্থে এরাজ্যে তা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপরই তিনি এনআরসি প্রসঙ্গে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবে এরাজ্যে এনআরসি হবে না। ক্ষমতা থাকলে এরাজ্যে এনআরসি করিয়ে দেখাক। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ অস্বীকার করতে পারবেন না। তবে, কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে। কিছু পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতি করেছেন। আমরা তা শুধরে নেব। কিন্তু, মানুষকে ঠকাব না।
এদিন যখন দুর্নীতি প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু বক্তব্য রাখছেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বনগ্রামের অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ কুবির। গত ১৬ নভেম্বর সাঁইথিয়া বিধানসভার বুথভিত্তিক কর্মী-সম্মেলন থেকে অনুব্রতবাবু এই কুবিরের বিরুদ্ধেই থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মহম্মদ কুবিরকে দেখে উস্থিত কর্মীদের একাংশ এদিন বলাবলি শুরু করেন, কুবিরকে কি তাহলে শুধরে নিয়ে মঞ্চে জায়গা দেওয়া হয়েছে? তাঁরা বলেন, এরকম চলতে থাকলে আগামী দিন খুব ভালো কিছু হবে না। যদিও এপ্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু সাংবাদিকদের বলেন, এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দলে আলোচনা হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, কর্মীদের বাক্রুদ্ধ করে রেখেছেন অনুব্রতবাবু। ওই দলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এরকম একটি দল ও নেতার উৎখাত খুব তাড়াতাড়ি হবে।
এদিনের এই কর্মিসভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অনুব্রতবাবু। তাঁর দাবি, এদিন আড়াই হাজার মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। যদিও শ্যামাপদবাবু বলেন, তৃণমূলের মনে হয় মানুষ তৈরির কারখানা আছে। মানুষ তৈরি করে ওঁরা তৃণমূলে ঢোকায়।
অন্যদিকে, হায়দরাবাদের এনকাউন্টার প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উল্টো সুর অনুব্রতবাবুর গলায়। তিনি বলেন, ওরা যদি ধর্ষণ করে থাকে তাহলে এনকাউন্টার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়েছে।