রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিসের একটি সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৬৩, ৩৬৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরে তদন্তে ধর্ষণ প্রমাণিত হলে সেই ধারাও যুক্ত হতে পারে। সারা দেশ যখন হায়দরাবাদের ঘটনায় উত্তাল, তখন নদীয়া জেলায় এমন একটি ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিস সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, মেয়েটিকে অপরহণ করা হয়েছিল। ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কিছু হয়েছিল কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এলাকার একটি দোকানে যাওয়ার জন্য রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় ওই নাবালিকা। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে এলাকার একটি মাঠে তাঁকে খুজে পাওয়া যায়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হতে শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা।
এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, রাতে আমার মেয়ে দোকানে গিয়েছিল। পরে শুনেছি, ওকে কয়েকজন মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। গ্রামের একজন দেখে ফেলতে ওরা পালিয়ে যায়। আমার মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিল। এরপর মেয়ের থেকে আমরা সব শুনলাম। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। দু’জন ছিল ওরা। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরকম ঘটনার জন্য ওদের উপযুক্ত শাস্তি আমরা চাই।
এদিকে, ওই নাবালিকা বলে, আমি দোকানে যাচ্ছিলাম। ফেরার পথে ওরা আমায় জোর করে ধরে এক জায়গায় নিয়ে যায়। পরে আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। আমার সঙ্গে অসভ্যতা করেছে। আমি ওদের শাস্তি চাই।