পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ২০সেপ্টেম্বর পেট্রকেমে আগুন লেগে ১৩জন জখম হন। অগ্নিকাণ্ডে জখমদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার চারদিনের মাথায় ২৫সেপ্টেম্বর মহিষাদলের কাউকুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা সৌগত সামন্ত নামে এক কর্মীর মৃত্যু হয়। ১১দিনের মাথায় ১অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার সুকান্ত পল্লির বাসিন্দা পারিজাত ভট্টাচার্য মারা যান। পেট্রকেমের সিনিয়র ম্যানেজার পদে ছিলেন তিনি। পরে পুলকানন্দ মাইতি ও দীপক সামন্ত নামে আরও দুই কর্মীর মৃত্যু হয়।
এদিন পেট্রকেমের ১ নম্বর গেটে আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকে মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। মৃতদের প্রতিকৃতিতে ফুলের মালা ও মোমবাতি জ্বেলে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দুবাবু। পরে স্মরণসভা মঞ্চে মৃতদের পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানান মন্ত্রী। তাঁদের হাতে ৫লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেওয়া হয়।
এদিন স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক, পুরসভার দুই চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল আজিজুল রহমান ও নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক, আইএনটিটিইউসির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার, তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক পার্থ বটব্যাল, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল সহ হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতৃবৃন্দ।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, পেট্রকেম দুর্ঘটনার পর আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকে হলদিয়ার শ্রমিক কর্মচারীদের কাছে মৃত ও জখমদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। তাঁরা এগিয়ে এসেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না ঠিকই, তবু আমরা সবাই মিলে তাঁদের পাশে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছি। এদিন ৫লক্ষ টাকা করে মোট ২০লক্ষ টাকা মৃতদের পরিবারের হাতে আমরা তুলে দিলাম।
তিনি বলেন, হলদিয়ায় অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। তবে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিটি সেন্টারে ট্রমা কেয়ার ইউনিট গড়ছে, যেখনে বার্ন ইউনিটে এধরনের আপৎকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আইওসি যেখানে শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে বা বন্দরে টাটাদের সংস্থা যেখানে দিল্লি থেকে সেফটি অ্যাওয়ার্ড আনছে, সেখানে পেট্রকেমের কোথাও যেন গাফিলতি রয়েছে। গত দেড় দু’বছরে দুর্ঘটনা ঘটার পরও পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়নি। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তোলা বা বিনিয়োগকারীদের আক্রমণ করার জন্য একথা বলছি না। ঘটনার পরম্পরা দেখে আমার বিষয়টি মনে হয়েছে। আগামীদিনে যাতে শ্রমিকদের আর কোনও স্মরণসভা করতে না হয়, সেবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হতে হবে।
এদিন সভা শেষে পেট্রকেমের জেনারেল ম্যানেজার(হিউম্যান রিসোর্স) দেবাশিস সেনকে ডেকে মন্ত্রী এবিষয়ে জোর দিতে বলেন। একই সঙ্গে মৃতের পরিবারগুলি কেন স্বাস্থ্যবিমার টাকা পাচ্ছেন না, সেপ্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী।