বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবিষয়ে আড়ষা রেঞ্জের কান্টাডি বিটের অফিসার মলয় মণ্ডল বলেন, কান্টাডি বিটের পুয়ারা মৌজায় বর্তমানে ১৩টি হাতি রয়েছে। জঙ্গল এলাকাতেই আপাতত হাতিগুলি রয়েছে। ভিড় থাকলেও আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাধারণ মানুষকে কাছ ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই হাতির দলে দু’টি শিশুও রয়েছে। বরাবাজারের দিক থেকে হাতির দলটি আড়ষা এলাকায় এসেছে। ওই এলাকায় হাতির দলটিকে ঝাড়খণ্ডের দিকে তাড়ানোর সময় রাতের অন্ধকারে হাতির দলটি কান্টাডি বিট এলাকায় চলে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুয়ারা এবং রঞ্জিতডি এলাকায় হাতির তাণ্ডব সাধারণত দেখা যায় না। তবে শনিবার সকালে হাতির দলটি পুয়ারা মৌজায় চলে আসার খবর গোটা এলাকায় দ্রুত চাউর হয়ে যায়। সকাল থেকেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতি দেখার লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা পরীক্ষিৎ মাহাত বলেন, হাতিগুলি এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষয়ক্ষতি করেনি। তবে যে এলাকার জঙ্গলে হাতিগুলি রয়েছে তার পাশেই প্রচুর সব্জি রয়েছে। যেকোনও সময় হাতিগুলি সব্জি নষ্ট করতে পারে। এই এলাকায় আগে কখনও হাতি আসেনি। এলাকার সকলেই আতঙ্কেও রয়েছে। কীভাবে সব্জি ও ধান বাঁচানো যাবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। হাতির দলটিকে দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তরিত করার দাবি জানাচ্ছি।
এদিন হাতি দেখতে আসা ধানাড়া গ্রামের বাসিন্দা জমিরুদ্দিন আনসারি, শুকলাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লা মীর বলেন, এলাকায় হাতির দল আসার খবর পেয়েই তা দেখেতে এসেছি। তবে একটা ভয়ও রয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই আড়ষা থানার ওসি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়, মাইক নিয়ে সাধারণ মানুষকে বারবার হাতির সামনে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করতে থাকেন। বনদপ্তরের আধিকারিকরাও সাধারণ মানুষকে হাতির দলটির থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করলেও বহু মানুষ নিষেধ উপেক্ষা করে হাতির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। হাতির দলটি পাল্টা তেড়ে যায়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পরই হাতির দলটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে।