কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নবদ্বীপ পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তেঘড়িপাড়া অঞ্চলের ঝাপানতলা ও নবদ্বীপ ধাম স্টেশন সংলগ্ন ভট্টপাড়ায় কয়েকদিন ধরে হনুমানের তাণ্ডবের জেরে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হয় হনুমানের তাণ্ডব। ইতিমধ্যেই দু’জন মহিলা সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জখম হয়েছেন। তাঁদেরকে চিকিৎসার জন্য নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা শুভাশিস বাগ বলেন, বিগত প্রায় এক বছর ধরে এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে হনুমান। সম্প্রতি তিনজনকে আক্রমণ করে। তাঁদের মধ্যে ৫০ বছর বয়সি এক মহিলাকে গুরুতরভাবে জখম হন। তাঁর একটি পা ভেঙে যায়।
স্থানীয় যুবক সমীর দে বলেন, এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আরও একবার হনুমানের তাণ্ডব চলেছিল। দুই ব্যক্তি গুরুতর জখমও হন। তেঘড়িপাড়ার বাসিন্দা লালমোহন মোদক বলেন, বনদপ্তরকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা নির্বিকার। বছরখানেক ধরে বেশ কয়েকজন বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা জখম হলেও কোনও হেলদোল নেই বনদপ্তরের। তাই বাধ্য হয়েই নবদ্বীপ থানার পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হনুমানের তাণ্ডবের ভয়ে দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রবীণরা তো বটেই, শিশু-কিশোররাও বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে। হনুমানের তাণ্ডব থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার বাসিন্দারা।
বনদপ্তরের কৃষ্ণনগর রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার বিকাশ বিশ্বাস বলেন, হনুমান ধরার জনণ্য খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৮ ডিসেম্বর রবিবার সেখানে একটি খাঁচা পাতা হবে। সাতদিন দেখার পর যদি কোনও কাজ না হয় তাহলে ঘুমপাড়ানি বন্দুকের সাহায্য নেওয়া হবে।