শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতঙ্গিনী বালিকা বিদ্যালয়ের এবছর ২০০ জন ছাত্রী মাধ্যমিকের টেস্ট দিয়েছে। তারমধ্যে ১২৫ জন ছাত্রী উত্তীর্ণ হলেও ৭৫ জন ছাত্রী পাশ করতে পারেনি। সেই ৭৫জন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা বিডিও অফিসে জড়ো হয়ে লিখিতভাবে ছাত্রীদের মাধ্যমিকে বসার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানান। অভিভাবকদের অভিযোগ, ছাত্রীদের পাশের তালিকা বানানোর সময় কারচুপি হয়েছে।
এক অভিভাবক বলেন, আমরা বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। প্রধান শিক্ষিকাকে বলেছি, ৭৫ জন ছাত্রীকে মাধ্যমিকে বসার অনুমতি যাতে দেওয়া হোক। সকলেই এক দু’ নম্বরের জন্য ফেল করেছে। এবছর পরীক্ষায় বসতে না পারলে একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে। সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনও নজর দিচ্ছে না। তাই আমরা বিডিও সাহেবের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।
নীলা দাস নামে এক অভিভাবিকা বলেন, আমরা দু’দিন ধরে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে আসছি। কিন্তু, কোনও আলোচনায় বসতে চাইছেন না। প্রধান শিক্ষিকা এবিষয়ে নানা অজুহাতে ছাত্রীদের আটকে দিয়েছেন। আমাদের হয়রানি করাচ্ছেন। তাই আমরা চাই, যাতে সকল ছাত্রীকে টেস্ট পরীক্ষায় না আটকে মাধ্যমিকে বসার অনুমতি দেওয়া হোক। তারজন্য বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছি।
নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, আমার কাছে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে। তবে এবিষয়ে আমার কোনও এক্তিয়ার নেই। আমি এসআই এবং এআইকে লিখিত আবেদন জানাতে বলেছি, ওঁরা বিষয়টা দেখবেন।
মাতঙ্গিনী বালিকা বিদ্যাল্যের পরিচালন সমিতির সভাপতি সমীর রায় বলেন, আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। বিষয়টা বোঝানো হয়েছে। তবে পরবর্তী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে মূল সিদ্ধান্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও শিক্ষিকা মণ্ডলীরা নেবেন।