বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিএনএ, বহরমপুর: শনিবার সকালে বহরমপুরের ভাকুড়ির কাছে পথ দুর্ঘটনায় শিলিগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরীর(৩৬) মৃত্যু হয়েছে। এদিন তিনি বোলেরো গাড়িতে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন। ভাকুড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে তাঁর গাড়িটি ধাক্কা মারে। চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন অভিজিৎবাবু। তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের পর এদিনই মৃতদেহ শিলিগুড়ি পাঠানো হয়। তবে, গাড়ির বাকি তিনজন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও রাজ্যনেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে আসেন।
পুলিস জানিয়েছে, অভিজিৎবাবুর গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় গাড়ির সামনের বাঁ-দিকের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎবাবু লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলের জেলা সভাপতি ছিলেন। শুক্রবার জেলা সভাপতি হিসেবে পুনরায় তাঁর নামই ঘোষণা করা হয়। সেই কারণেই তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন প্রসেনজিৎ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা তখন ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। গাড়ির ভিতরটা তখন ধোঁয়ায় ভর্তি। জেলা সভাপতির শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।
বহরমপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার পর ট্রাক চালকও গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অভিজিৎবাবুদের গাড়ির চালক ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। গাড়ির সামনের দিকে একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণেই সামনে বসা অভিজিৎবাবু গুরুতর জোট পান এবং পরে মারা যান। তবে, বাকিরা রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন। গাড়ির চালকের চোটও গুরুতর নয়। তবে তিনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
গাড়ির চালক বলেন, হঠাৎ করেই জাতীয় সড়কে কুকুর চলে আসে। কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এমনটা যে ঘটে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।
বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। অভিজিৎবাবুর বাড়িতে বাবা, স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়ে রয়েছে। তাঁর এক ভাইও পথ দুর্ঘটনায় আগে মারা গিয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎবাবু অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শিলিগুড়িতে সংগঠন মজবুত হয়। তাঁর মৃত্যুতে দলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফের জেলা সভাপতি হিসেবে অভিজিৎবাবু দায়িত্ব পাওয়ায় এদিন শিলিগুড়িতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি হয়েছিল অনেক ফুলের মালা ও তোড়া। তৈরি ছিলেন তাঁর অনুগামী ও দলীয় কর্মীরা। অভিজিৎবাবু তাঁর নিজের প্রিয় শহরে ফিরলেন। কিন্তু, কর্মী, সমর্থক, অনুগামীদের সেই ফুল তাঁর হাতে উঠল না, নিবেদিত হল চরণে।
পুলিস জানিয়েছে, অভিজিৎবাবুর গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় গাড়ির সামনের বাঁ-দিকের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎবাবু লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলের জেলা সভাপতি ছিলেন। শুক্রবার জেলা সভাপতি হিসেবে পুনরায় তাঁর নামই ঘোষণা করা হয়। সেই কারণেই তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন প্রসেনজিৎ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা তখন ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। গাড়ির ভিতরটা তখন ধোঁয়ায় ভর্তি। জেলা সভাপতির শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।
বহরমপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার পর ট্রাক চালকও গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অভিজিৎবাবুদের গাড়ির চালক ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। গাড়ির সামনের দিকে একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণেই সামনে বসা অভিজিৎবাবু গুরুতর জোট পান এবং পরে মারা যান। তবে, বাকিরা রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন। গাড়ির চালকের চোটও গুরুতর নয়। তবে তিনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
গাড়ির চালক বলেন, হঠাৎ করেই জাতীয় সড়কে কুকুর চলে আসে। কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এমনটা যে ঘটে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।
বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। অভিজিৎবাবুর বাড়িতে বাবা, স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়ে রয়েছে। তাঁর এক ভাইও পথ দুর্ঘটনায় আগে মারা গিয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎবাবু অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শিলিগুড়িতে সংগঠন মজবুত হয়। তাঁর মৃত্যুতে দলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফের জেলা সভাপতি হিসেবে অভিজিৎবাবু দায়িত্ব পাওয়ায় এদিন শিলিগুড়িতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি হয়েছিল অনেক ফুলের মালা ও তোড়া। তৈরি ছিলেন তাঁর অনুগামী ও দলীয় কর্মীরা। অভিজিৎবাবু তাঁর নিজের প্রিয় শহরে ফিরলেন। কিন্তু, কর্মী, সমর্থক, অনুগামীদের সেই ফুল তাঁর হাতে উঠল না, নিবেদিত হল চরণে।
