গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ হঠাৎই খামারে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। মূলত কিশোরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গুজরাত গ্রামটি কৃষি জমি সংলগ্ন। যে কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এলাকায় দমকল পৌঁছতে পারেনি। খামারের পাশাপাশি ওই একই গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিব এলাকায় ওই রাতে কৃষি জমিতে থাকা দু’টি খড়ের পালুইয়েও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিয়ে চাষি সুনীল কোটাল বলেন, আমাদের এলাকাটি মূলত কৃষি প্রধান। অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের নিজস্ব কোনও চাষের জমি নেই। যে কারণে, তিনজন চাষি মিলে মালিকের জমিতে ভাগচাষি হিসেবে প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলাম। ওই পাঁচ বিঘা জমির ধানের মধ্যে দেড় বিঘা জমির ধান মালিককে দেওয়ার কথা ছিল। বাকি ধান আমরা তিন ভাগচাষি ভাগ করে নেব। কিন্তু, তারই মধ্যে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা ধানের খামারে আগুন ধরিয়ে দেয়। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে আমরা কোনও রাজনৈতিক দল করি না। আমরা চাই, প্রশাসন এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক। আগামী দিনে আমরা কী করে সংসার চালাব তা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
এ ব্যাপারে ৪৩ নম্বর জেডপির বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি মণিশঙ্কর জানা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর যে সব তৃণমূল ও সিপিএম কর্মী আমাদের দলে যোগদান করেছেন, তাদের উপর বিভিন্ন সময়ে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা অত্যাচার চালাচ্ছে। ধানের গোলায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বহিরাগত তৃণমূল দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কিশোরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপেন মাইতি। তিনি বলেন, আমরাও চাই কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এ ধরনের কাজ করেছে তার তদন্ত হোক। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকতে পারে না। যে সব চাষির ধান আগুনে পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে কীভাবে সাহায্য করা যায়, পঞ্চায়েতের তরফে সেই চেষ্টা চলছে। বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে।
এদিকে, খানাকুল-১ ব্লকের ১০৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জানলা, দরজা ভস্মীভূত হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ওই কেন্দ্রের পড়ুয়া ও কর্মীরা। প্রশাসনের তরফে দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি সংস্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জমির ধান পুড়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন কৃষক পরিবারের মহিলারা। লক্ষ্মী কোটাল নামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বলেন, নিজেদের জমি না থাকা সত্ত্বেও অনেক কষ্ট করে চাষ করেছিলাম। কিন্তু, কেন আমাদের সর্বনাশ করার জন্য দুষ্কৃতীরা এমনটা করল, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।