রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর ঠাকুমা বলেন, শুক্রবার সকালে বউমা নাতনিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বারবার বলছিল। কিন্তু, সে কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইছিল না। কান্নাকাটি করছিল। সে ভয়ের মধ্যে ছিল। এরপর নাতনিকে ফের জিজ্ঞাসা করায় সে কাঁদতে কাঁদতে বলে স্কুলের শিক্ষক তাকে ছাদের ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। ঘটনার কথা কাউকে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। এরপরেই কয়েকজন অভিভাবক মিলে শিক্ষককে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। অভিভাবক খোকন বিশ্বাস, দীপঙ্কর মণ্ডল, রাখী বিশ্বাস বলেন, স্কুলের শিক্ষক যেখানে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করতে পারেন, সেই স্কুলে আমরা বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। এছাড়াও স্কুলের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। নিয়মিত শিক্ষকরা দেরি করে স্কুলে আসেন। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মলয় বিশ্বাস বলেন, এমন একটা ঘটনার খবর শুনেছি। ঘটনাটা খুবই ন্যাক্কারজনক। একজন শিক্ষক হিসেবে এমন ঘটনা যদি তিনি ঘটিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এই ধরনের শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক সমাজের বদনাম হচ্ছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পদ্মাবতী হালদার বলেন, ঘটনার কথা আমি কিছুই জানতাম না। ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছে তা এখনও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। কারণ, এদিন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পোশাক বিতরণ চলছিল। সেই সময় কয়েকজন অভিভাবক এসে সহকর্মীকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরেই বেশ কিছু অভিভাবক এসে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা বলেন, স্কুলের ওই শিক্ষক একজন ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করেছেন। তাঁরা শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এর বেশি আমি কিছু জানি না। সত্যি যদি শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে আমি উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষিকা বলেন, ওই অভিযোগগুলি সত্য নয়। কারণ অনেক সময় অফিসিয়াল কাজ করতে গিয়ে হয়তো কেউ একটু দেরি করে আসেন। সেটা তাঁরা স্কুলের কাজের জন্যই দেরি করেন।
এবিষয়ে থানার এক অফিসার বলেন, খবর পেয়ে স্কুলে তদন্তে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করার জন্য তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যল রিপোর্ট হাতে আসার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।