কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কালনা মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রতিদিন কালনা, নদীয়া, হুগলি জেলা থেকে কয়েকশো রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন। হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ইউনিট বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত দরকার। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে রক্তসঙ্কট দেখা দিয়েছে। এদিন সমস্যা চরমে পৌঁছয়। এদিন হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে সকাল থেকে বি পজিটিভ-১১ইউনিট, বি নেগেটিভ ২ ইউনিট ও এবি নেগেটিভ ২ ইউনিট সহ মোট ১৫ইউনিট রক্ত স্টক ছিল। একের পর এক রোগীর পরিবার রক্তের জন্য এলেও হাসপাতালে জরুরি বিভাগের জন্য সবসময় কিছু রক্ত দরকার। ফলে হাসপাতাল থেকে রোগীদের পরিবারকে ডোনার আনার জন্য বলা হয়। রক্তের জোগান দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিশেহারা, এই খবর পৌঁছয় কালনা থানায়। কালনা থানার ওসি কয়েকজন পুলিসকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঠিয়ে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও সমুদ্রগড়ের রেয়ার ওয়ারিয়র্স নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কয়েকজন ডোনার পাঠিয়ে এদিন কোনওরকমে রক্তের জোগান দেন। এছাড়াও নদীয়ার বাসিন্দা সুজিত সাহা তিনি বাবার জন্য রক্ত দেন।
হাসপাতালের সহকারী সুপার সামিম মল্লিক বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি শিবির বাতিল হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এদিন হাসপাতালে ১৫ইউনিট রক্ত মজুত ছিল। কয়েকজন পুলিসকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার বিষয়টি জেনে সরাসরি হাসপাতালে এসে রক্ত দেন। তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কয়েকদিনের মধ্যে শিবির রয়েছে। আশা করছি সমস্যা মিটে যাবে।
কালনা থানার ওসি রাকেশ সিং বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে হাসপাতালে রক্তের জন্য অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। তড়িঘড়ি কয়েকজন পুলিসকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে রক্তদানের জন্য পাঠাই। সকলে এগিয়ে এলে হাসপাতালের সমস্যা দূর হবে।