কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তিনি বলেন, সংগঠনের মধ্যে থেকে আপনার অস্তিত্ব এবং আপনার গুরুত্ব আপনাকে প্রমাণ করতে হবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে দল আপনাকে দেখে নেবে। এটা মনে রাখলে, পুরসভায় কাকে টিকিট দিচ্ছে কাকে টিকিট দিচ্ছে না, সেটা আপনার কাছে বড় হবে না। কাজ করলে আপনি যথাযথ মর্যাদা পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা করে দেখিয়েছেন। নদীয়া জেলা থেকে একদিকে মন্ত্রী একদিকে সভাধিপতি তিনি করেছেন। কিন্তু সভাধিপতি, মন্ত্রী একলা কাজ করতে পারবে না। বুথ কর্মীরা না থাকলে আমাদের গুরুত্ব থাকত না। আপনারা রাস্তায় থাকলেই দল শক্তিশালী হয়।
তিনি বলেন, দল করলে চাওয়া থাকতেই পারে। কিন্তু চাইবেন কখন, যখন নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারবেন। আমি যা নিয়েছি, তা কি দিতে পেরেছি? সেটা আপনাকে ভাবতে হবে। যদি মনে হয়, নিশ্চিতভাবে দলকে দিয়েছেন, তবে মনে রাখবেন, দল আপনাকে দেখবে।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন চন্দ্রিমাদেবী। বলেন, কেন এনআরসি হবে। কীসের জন্য এনআরসি হবে। ভারতবর্ষের সংবিধানকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। সংবিধানের মূল কাঠামোকে ধ্বংস করে আপানার এনআরসি করতে পারেন কি না তা আমরা দেখে নেব। এসবের প্রতিবাদ তো মানুষই করেছেন। করিমপুরে নির্বাচনে জেতার মার্জিন বেড়ে গিয়েছে। আর কালিয়াগঞ্জ যেখানে আমরা ছিলাম না। সেখানে আমরা জিতেছি। আর খড়্গপুর। যেখানে তিনি বলেন, ঢুকিয়ে দেবে, বাইরে বের করে দেবে, সেখানে ৪৭ হাজার মার্জিন ছিল বিজেপির, সেখানেও আমরা জিতেছি। সেখানে এনআরসি ফ্যাক্টর কী? ওই যে মন্দা, জিনিসপত্রের এত দাম। এই সব কিছুর ফল। এগুলি আপনাদের জানতে হবে। এগুলি নিয়ে প্রচার করতে হবে। এক একজন এক এক বিষয়ে বলবেন না। ভালো করে বুঝুন। ভালো করে বলবেন। আমরা একটা বইও করেছি। সেটা নিয়ে নেবেন।
কর্মীদের চাঙ্গা করতে তিনি বলেন, কেন্দ্রের এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে মহিলাদেরই মাঠে নামতে হবে। প্রশ্ন করবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, না যারা এই সব কিছু করছে তারা থাকবে। আমরা বলতে লজ্জা নেই। যদি কাজ করেন, যদি দেখিয়ে দিতে পারেন আপনি কী, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন। আমি তো হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু, উনি ভেবেছিলেন, আমি কাজ করতে পারি। তাই ফিরিয়ে এনেছিলেন। হেরে যাওয়া টিকিট না পাওয়া এগুলি কোনও ফ্যাক্টর নয়। মনে ব্যথা থাকতে পারে, তবে দুঃখ পাবেন না। ঠিক সময়ে সঠিক জিনিস আপনি পাবেন। মনে রাখবেন দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস আর নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় মন্ত্রী রত্না ঘোষ, সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এদিন কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমিত ঘোষকে সরিয়ে ছাত্র নেতা সুজয় হালদারকে সভাপতি করা হয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়। এদিন সুমিতের অনুগামীরা মন্ত্রীর সামনেই বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে স্লোগান দিতে থাকেন। সুমিতকে সভাপতি রাখার লিখিত দাবিও তাঁরা মন্ত্রীকে দেওয়ার চেষ্টা করেন।