বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বারাবনির বিডিও সুরজিৎ ঘোষ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এডিসিপি (ওয়েস্ট) অনামিত্র দাস বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গৌরাণ্ডি বেগুনিয়া কোলিয়ারির ম্যানেজার বিকে ঠাকুর বলেন, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
অভিযোগ, মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে ফের আসানসোল শিল্পাঞ্চলে অবৈধ কয়লা পাচারের রমরমা কারবারের বিষয়টি সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগেই কুলটিতে এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলটির মতোই বারাবনির গৌরাণ্ডি, জামগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোলিয়ারির পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে গড়ে উঠেছে অবৈধ কয়লা পাচারের করিডর। যার অকাট্য প্রমাণ মিলল জামগ্রাম পঞ্চায়েতের কোলপাড়া গ্রামে গিয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশে ধস নামে। ভয়ে বেশ কিছুটা সময়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বাসিন্দারা।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ গভীর কুয়ো খাদান। যার পোশাকি নাম র্যা ট হোল। আর এখান থেকে চলে কয়লা উত্তোলন। বাসিন্দাদের দাবি, স্থানীয় কেউ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নয়। ব্লকের দাপুটে নেতাদের মদতে পাশের মদনপুর গ্রামের মাফিয়ারা এই কাজে যুক্ত। বিকেল হলেই বাইরে থেকে লোক এনে সন্ধ্যা থেকে খনন শুরু হয়। যার জেরে নীচের অংশ প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। তারফলেই বিশাল ধস নেমেছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়লা কারবারিদের হাত এতটাই শক্ত যে, গ্রামের ভিতরে লোকের জমিতে কুয়ো খাদান করছে। প্রতিবাদ করলেই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কয়লা মাফিয়াদের দাপটে পুরো গ্রামই যেকোনও দিন মাটির গভীরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা। তাই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাণনাশের হুমকিকে উপেক্ষা করেই বিষয়টি জানিয়ে ২ আগস্ট বারাবনির ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি বিডিও ও জামগ্রাম পঞ্চায়েত অফিসেও দেওয়া হয়। বাসিন্দারা আশা করেছিল, কিছু সুরাহা নিশ্চয় হবে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। যেভাবে কয়লা উত্তোলন চলছিল, সেই ভাবেই চলতে থাকে।
বাসিন্দারা জানান, একমাস আগেই গ্রামে এমন একটি ধস নেমেছিল। সেই সময় কোলিয়ারি থেকে এলাকাটি বুজিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, কয়লা কারবারিরা এতটাই বেপরোয়া যে, ফের তারা খনন শুরু করেছে। কোলপাড়া গ্রামটি ইসিএলের বেগুনিয়া গৌরাণ্ডি কোলিয়ারি অফিস লাগোয়া। তাই কীভাবে সংস্থার নজর এড়িয়ে এই বিশাল কারবার চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
স্থানীয় বাসিন্দা রবি হাঁসদা, নির্মল কোল বলেন, ভয়ে আমরা বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি না। সব সময় ভয় থাকে কখন পুরো গ্রাম ধসে যাবে। আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।