পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পিকে নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, দিদিকে বলো কর্মসূচি সফলভাবে পালন করতে হবে। কেউ ফাঁকিবাজি করলে তাঁকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সব নেতাই যে তাঁর স্ক্যানারে রয়েছে তা তিনি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ কর্মসূচি সম্পূর্ণ না করেই রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন। ভোটগুরু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এসব চলবে না। সব রিপোর্ট তাঁর কাছে আছে। বৈঠকে পিকে তৃণমূল নেতাদের আরও বহু দাওয়াই দিয়েছেন। তাঁর টোটকা, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সোশ্যাল মিডিয়া চালানোর জন্য দলের তিনজন পিওসি অপরেটর নিয়োগ করতে হবে। তাঁরা দলের যাবতীয় কর্মসূচি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরবেন। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলিও সোশ্যাল মিডিয়ার অপরেটররা প্রচার করবে। এছাড়া প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে রিভিউ মিটিং করতে হবে। মাসে দু’টি করে মিটিং করে তার রিপোর্ট ভোটগুরুর কাছে পাঠাতে হবে।
তাঁর পরামর্শ, দিদিকে বলো কর্মসূচির নির্দিষ্ট নম্বর লেখা কার্ড আরও বেশি করে জনসাধারণের মধ্যে বিলি করতে হবে। মাঠে, হাটে এবং ঘরে ঘরে গিয়ে কার্ড জনতার হাতে দিতে হবে। কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে যেন নির্দিষ্ট ওই নম্বরে ফোন করে, সেটা সবাইকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বুথ স্তরে সংগঠন আরও মজবুত করার জন্য তিনি আরও বেশ কিছু টোটকা দিয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখন দিদিকে বলো কর্মসূচিতে নেতারা আমজনতার ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। তাঁদের ঘরে খাওয়ার পর রাতও সেখানে কাটাচ্ছেন। এছাড়া নেতারা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কেউ কোনও ভাতা না পেলে বা কারও কোনও প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে জানাতে বলছেন। এই কর্মসূচিতে অনেক জায়গাতেই সাফল্যও পাওয়া গিয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে জনসংযোগের অন্য কোনও ঘরানা পিকে সামনে আনবেন। তার ইঙ্গিতও তিনি দিয়ে রেখেছেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় দিদিকে বলো কর্মসূচির কো-অর্ডিনেটর রয়েছেন অরিৎ মজুমদার। তিনি ছাড়াও মঙ্গলবারের বৈঠকে জেলার বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতারাও হাজির ছিলেন। অরিৎবাবু বলেন, দিদিকে বলো কর্মসূচি আরও গুরুত্ব দিয়ে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলের এক নেতা বলেন, যাঁরা এই কর্মসূচিতে ফাঁকি দিচ্ছেন তাঁদের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এমনকী, ঠিকমতো কাজ না করায় জেলার দুই নেতাকে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। পিকের টিম প্রত্যেকের উপর অত্যন্ত কড়া নজরদারি রাখছে। কিছু নেতা পিকের টিমের ঠিক করে দেওয়া সাধারণ বাসিন্দার ঘরে পুরো রাত না কাটিয়ে চলে আসছেন। অথচ তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সারা রাত সেখানে কাটানোর কথা প্রচার করছেন। সেসব নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমবার তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। তাতেও কাজ না হলে সরিয়ে দেওয়া হবে। পিকের টিমের সদস্যরা জেলায় জেলায় ঘুরে নজরদারি চালাচ্ছেন।