বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এব্যাপারে বোলপুর-শান্তিনিকেতন হোটেল মালিক সমিতির সম্পাদক প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। তবে এবার মেলা চারদিনের হওয়ায় কোনও হোটেল তিনদিনের প্যাকেজ করছে। কেউ আবার দু’দিন করেও প্যাকেজ করছে। কয়েকদিনের মধ্যে ১০০ শতাংশ হোটেলই বুকিং হয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের। এবার মেলা হবে চারদিনের। আগামী ২৪ ডিসেম্বর মেলা শুরু হয়ে ২৭ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাবে। তাই নির্দিষ্ট দিনের বাইরে যাতে মেলা না থাকে সেইজন্য এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। সেইজন্য মেলায় আসা ব্যবসায়ীদের প্লট বুকিং হবে অনলাইনে। pousmela.in এই ওয়েবসাইট থেকে ব্যবসায়ীরা অনলাইনে তাদের প্লট বুকিং করতে পারবেন। তারপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাদের স্টল করার জন্য জায়গা চিহ্নিত করবে।
এছাড়া শুধু অনলাইনে স্টল বুকিংই নয়, এবারই প্রথম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানিও নেওয়া হবে। নিয়মের তোয়াক্কা না করলে কর্তৃপক্ষ সিকিউরিটি মানির টাকা ফেরত দিতে নাও পারে। যদিও এই সিদ্ধান্তের জেরে ব্যবসায়ী মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে। তাছাড়া মেলা এবার চারদিনের হওয়ায় হোটেল ব্যবসায়ীরাও লাভের অঙ্ক থেকে কিছুটা বঞ্চিত হবেন বলে দাবি।
হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, গত বছর পৌষ মেলা ছিল ছ’দিনের। তিনদিনের প্যাকেজ করে হোটেল ভাড়া দেওয়া হয়। কিন্তু এবার কেউ তিনদিনের প্যাকেজ করে ভাড়া দিচ্ছেন। কেউ আবার বাধ্য হয়ে দু’দিনের প্যাকেজও করেছেন। হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার জন্য কার্যত সারা বছর অপেক্ষা করে থাকতে হয়। বসন্ত উৎসবের সময় খুব বেশি হলে দু’দিনের হোটেল ভাড়া হয়। কিন্তু পৌষমেলায় তা বেশি পাওয়া যায়। তাই লাভের অঙ্ক বেশি থাকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বোলপুর-শান্তিনিকেতনজুড়ে শতখানেক হোটেল রয়েছে। তারমধ্যে অবশ্য লজ, রিসর্টও রয়েছে। এখনও অনেক হোটেল, লজ নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে পৌষমেলায় শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের জায়গা পেতে বহু হোটেল থাকলেও সময়মতো তা বুকিং না করলে মেলে না। এমন অভিজ্ঞতা ভিন জেলার বহু পর্যটকেরই রয়েছে। বর্তমানে চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই শান্তিনিকেতনের অর্ধেকের বেশি হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে।
ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের জন্য অবশ্য হোটেলগুলিতে শুধু থাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ আবার প্যাকেজে ব্রেকফাস্টের অফারও দিয়েছে। তবে খাবারের জন্য পর্যটকদের আলাদা করেই খরচ দিতে হবে। কোনও কোনও লজে আবার খাবারের ব্যবস্থাও নেই।
হোটেল ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে আরও খবর, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা পৌষমেলার সময় শান্তিনিকেতনে আসেন। তাছাড়া কলকাতার পর্যটক বেশি মাত্রায় থাকে। এমনকী, ভিন রাজ্যের পর্যটকদের ভিড়ও হয়। বিশ্বভারতীতে কয়েকটি বিদেশি ভাষা পড়ানো হয় বলে সেখান থেকেও পর্যটকরা আসেন। বিশ্বভারতীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সংখ্যাও কম নয়। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রিম সমস্ত টাকাই দিয়ে দিতে হচ্ছে।