পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ থানার মোতিঝিল মাজারপাড়ায় ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ে। মাস দেড়েক আগে বহরমপুরের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে বাবা-মা। জানতে পেরে ক্লাসের বন্ধুদের জানায় সে। অন্যান্য কন্যাশ্রী যোদ্ধারা ওই ছাত্রীকে নিয়ে থানায় গিয়ে যায়। বিয়ের দিন সকালে পুলিস বিয়েবাড়িতে পৌঁছে বিয়ে বন্ধ করে। যদিও পরে গোপনে ফের ৫ ডিসেম্বর বিয়ের দিন ঠিক করে তার বাবা। সপ্তাহ খানেক আগে বিয়ের বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে জানানোয় মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে ছাত্রীর বাবা-মা, এমনটাই অভিযোগ। এমনকী অন্যান্য কন্যাশ্রী যোদ্ধাদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ছাত্রী বলে, বিয়ের বিষয়টি স্কুলের দিদিমণিদের বলেছি জানার পরেই বাবা-মা আমার উপর অত্যাচার শুরু করে। আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। বন্ধুর বিয়ে রুখে দিয়ে উচ্ছ্বসিত কন্যাশ্রী যোদ্ধা রিমি দাস, প্রীতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলে, ওর থেকে বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে যে করেই হোক বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা ওর বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে বিয়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু উল্টে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। আমরা চাই, ও পড়াশোনা চালিয়ে যাক।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা ঘোষ বলেন, বুধবার ওই ছাত্রীর বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বোঝানোর পর এখন বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ঘটনাটি বিডিওকে জানিয়েছি। বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ওই ছাত্রীর বাবা মেয়ের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।