পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শিশুসন্তান সহ রুপালিদেবীকে তাঁর স্বামী সুব্রত খুন করে জলে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে মৃতার ভাই অণ্ডাল থানায় তাঁর জামাইবাবুর বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা রুপালিদেবী ও তাঁর সন্তান সম্রাটের মৃতদেহ পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা সুব্রত দাসের সঙ্গে রুপালিদেবীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রায় তিন বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপরেই সুব্রত কর্মসূত্রে স্ত্রীকে নিয়ে অণ্ডালে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকত। সে এখানে ডিভিসির পাওয়ার প্ল্যান্টের অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। দেড় বছর আগে তাঁদের পুত্রসন্তান হয়।
মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে সুব্রত বারবার পণের দাবি জানাত। সেই মতো তাকে এক বিঘা জমি দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু, আর্থিক অনটনের কারণে জমি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর থেকেই সুব্রত প্রায় প্রতিদিনই রুপালিদেবীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। এমনকী, তাঁকে মারধরও করা হতো। এদিনও কোনও কারণে তাদের অশান্তি শুরু হয়। তারপরই স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে সুব্রত রাতের অন্ধকারে পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক সত্যনারায়ণ কুণ্ডু বলেন, সোমবার রাতে সুব্রতর পরিবারে কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছিল। ওইদিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম অশান্তি হয়। তারপর থেকে রুপালি ও তাঁর সন্তান নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপরে এদিন স্থানীয় একটি পুকুরের জলে মা ও সন্তানের মৃতদেহ জলে ভাসতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। কীভাবে ওদের মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।
মৃতার ভাই অমল দাস বলেন, দিদি ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। তবে, বিয়ের পর থেকেই জামাইবাবু পণের দাবি করত। পণের বদলে জমি দেওয়ার জন্য আমরা বলেছিলাম। কিন্তু, সেটা না দিতে পারার জন্যই জামাইবাবু দিদির উপর প্রায়ই অত্যাচার করত। আমাদের অনুমান, দিদি ও ভাগ্নেকে খুন করে জলে ফেলে দিয়েছে জামাইবাবু। আমরা ওর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এদিন মৃতদেহ দুটি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।