দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলায় গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবির ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল বিধায়ক তথা বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তার তথ্য উঠে এসেছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং পিকের টিমের কাছে। তাই ২০২১ সালের ভোটকে টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়কদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পিকে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতায় পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল বিধায়ক এবং তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পিকে নিজেও হাজির ছিলেন। সেখানেই আলোচনা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়কদের নামমাত্র ফলোয়ার থাকায় কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। তারপরই পিকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট সময়ের টার্গেট বেঁধে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং ‘পেজ’গুলিতে নিজেদের ফলোয়ার বাড়াতে তৎপরতা বাড়িয়েছেন পুরুলিয়ার তৃণমূল বিধায়করা।
মানবাজারের তৃণমূল বিধায়িকা তথা মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের নিজেদের তৎপরতা কয়েকগুণ বেড়েছে একথা সত্য। বর্তমানে ফেসবুক, ট্যুইটারেও আমাদের ফলোয়ারের সংখ্যা নিত্যদিন বাড়ছে। এতে দলের কর্মসূচি থেকে শুরু করে বিরোধীদের অপ্রচার সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে।
এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির কো-অর্ডিনেটর তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু বলেন, আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা পিছিয়ে ছিলাম একথা মানতেই হয়। সেই সময় বিজেপির অপ্রচারের জবাব ঠিক মতো দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠত না। তবে বর্তমানে পুরুলিয়া জেলাতেও দলের সোশ্যাল মিডিয়ার টিমের মাধ্যমে বিজেপির প্রতিটি অপপ্রচারের জবাব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে। দলের পরামর্শ মতো প্রতিটি বুথ থেকে ৫ জন করে সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মী কাজ করে চলেছেন। সেই ভাবেই অঞ্চল এবং ব্লক ও জেলা স্তরেও সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীরা কাজ করছেন। তাছাড়া আমরা নিজেরাও আগের থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সচেতন এবং সক্রিয় হয়েছি। বিভিন্ন স্তরে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেন বলেন, বিধায়ক হিসেবে নিজেরা এখন ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য মাধ্যমে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছি। বর্তমানে দলের যুব সংগঠনের কর্মীরাও বিজেপির প্রতিটি অপপ্রচারের জবাব সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো ভাবেই দিচ্ছেন। অনেক সময় বিধায়ক হিসেবে নিজেরা অপপ্রচারের পাল্টা জবাব দিয়ে তথ্য দেওয়ার আগেই এলাকার যুব কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি ভালোভাবে সামলাচ্ছেন। তবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা হওয়ায় এলাকার অনেক সাধারণ মানুষের কাছে মোবাইল থাকলেও তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে সড়গড় নন।
কাশীপুরের তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথোরিয়া বলেন, আগে আমরা শুধু মাঠেঘাটে কাজ করে গিয়েছি। ঠিকমতো প্রচার করতে পারিনি। কিন্তু, বর্তমানে প্রতিটি কাজের পাশাপাশি সেই কাজের প্রচারও করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিটি বুথে সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মী থাকার পাশাপাশি আমরা নিজেরা যেখানেই যাচ্ছি দু’জন করে সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মী সঙ্গে যাচ্ছেন। তাঁদের মাধ্যমেই প্রতিটি উন্নয়নের কাজের পাশাপাশি বিজেপির অপপ্রচারের জবাবও দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ফেসবুক, ট্যুইটার সহ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমেই আমরা নিজেদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দলীয় প্রচার চালাচ্ছি।