দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এদিন তাঁদের সেচ দপ্তরে নিয়ে যান সাগরদিঘি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কিসমত আলি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর তৎপরতায় সেচ দপ্তরের রঘুনাথগঞ্জ শাখায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিলেন নিহত দুই শ্রমিকের পরিবার ও জখম এক শ্রমিক। অন্য এক নিহত শ্রমিকের মেয়ের বয়স কম হওয়ায় ও দু’জনের পরিবারের কারও অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় রাজ্য সরকারের কাজে যোগদান করানো সম্ভব হল না। যদিও নিহত তিন শ্রমিকের পরিবারকে নিয়ে অন্য ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার।
সরকারি চাকরি পেয়ে রীতিমতো খুশি জখম জহিরুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী পারমিতা। জহিরুদ্দিন বলেন, শরীরে চারটি গুলি লাগায় একপ্রকার অক্ষম হয়ে গিয়েছি। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দিদির কাছে চাকরি চেয়েছিলাম। দিদির আশীর্বাদে আমার পরিবার বাঁচল। দিদির প্রতি আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে আপেল বাগানে শ্রমিকের কাজে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নৃশংসভাবে খুন হন সাগরদিঘির পাঁচ শ্রমিক। বরাতজোরে শ্রমিক জহিরুদ্দিন ওরফে জাহিরুল প্রাণে বেঁচে গেলেও জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার নিহত ও জখমদের পাশে দাঁড়ায়। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনিক সফরে এসে সাগরদিঘির বাহালনগরে গ্রামে যান। নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে সমবেদনা ও জখম যুবকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে নিহত পাঁচ শ্রমিকের পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। অন্যদিকে, একটি করে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ও নিহত শ্রমিকদের স্ত্রীদের বিধবা ভাতা চালুর কথা ঘোষণা করেছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিহত শ্রমিকদের পরিবার চাকরির দাবি জানিয়েছিল। এদিন সেই দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি তাঁরা।