পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আজ, মঙ্গলবার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী তথা কলাভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ নন্দলাল বসুর জন্মদিন। তাঁর নামানুসারে শান্তিনিকেতনের কলাভবন চত্বরে নন্দন মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কলাভবনের পড়ুয়ারা তাঁদের তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্ম ও খাদ্যদ্রব্য মেলায় বিক্রি করেন। সামগ্রী বিক্রি থেকে যে আয় হয় তা ভবনের দুস্থ পড়ুয়াদের জন্য নির্মিত অর্থ তহবিলে জমা হয়। কিন্তু, এবছর সেই নন্দন মেলাতেই চরম বিতর্ক দেখা দিল। রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ একদল পড়ুয়াকে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানটিকে বিকৃত করে গাইতে। কবিগুরু যে সুরের মধ্য দিয়ে গানটিকে রচনা করেছিলেন তা সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়ে ও কিছু শব্দ বদলে উচ্ছ্বসিত ভাবে গানটি গাইতে দেখা যায়। তার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের নাচ করতেও দেখা যায়। বিকৃত করে গাওয়া গানটির ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই প্রবল নিন্দায় সরব হয়েছেন শান্তিনিকেতনে আশ্রমিক থেকে শিল্প অনুরাগী মানুষ সহ বিশ্বভারতীর অন্যান্য ভবনের পড়ুয়ারাও। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য রক্ষায় একেবারে ব্যর্থ বলেও নিন্দা জানিয়েছেন রবীন্দ্র অনুরাগী মানুষজন। অন্যদিকে, কলাভবনের পড়ুয়ারা এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেই তাঁরা গানটি গেয়েছেন। কোনওভাবেই কবিগুরুকে অসম্মান করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বছর দু’য়েক আগে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন সঙ্গীত ভবনের ঐতিহ্যবাহী মঞ্চে ভবনের পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা মিলে একসঙ্গে মিউজিক্যাল চেয়ারে মেতেছিলেন। খেলা চলাকালীন হিন্দি গানের তালে তালে নাচতে দেখা গিয়েছিল সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়া, অধ্যাপক সকলকেই। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সমগ্র শান্তিনিকেতনে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে।
বিকৃত করে গান গাওয়ার বিষয়ে প্রবীণ আশ্রমিক তথা কবিগুরুর আত্মীয় সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আশ্রমে এই ধরনের ঘটনা হওয়া একেবারে অভিপ্রেত নয়। সম্পূর্ণভাবে রুচিহীন মানুষেরাই এমন কাজ করতে পারেন। তবে এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।